কলকাতা: রাজারহাটে (Rajarhat) যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে অসন্তুষ্ট আদালত। বুধবার ওই ঘটনায় সিআইডিকে (CID) ফের নতুন করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ১৫ মার্চের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিআইডিকে।
পাশাপাশি রাজারহাটের যুবক খুনের (Rajarhat Murder Case) ঘটনায় যে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল রাজারহাট থানার পুলিশ, সেই গ্রেফতারিকেও বেআইনি বলে জানিয়েছে আদালত। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় পুলিশের হাতে তদন্তের দায়িত্ব থাকলে এই খুনের কিনারা হবে না। তাই রাজারহাট থানার হাত থেকে এই তদন্ত সরানো হল।
আরও পড়ুন: Balarampur BJP : বলরামপুরে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
রাজারহাট থানার পুলিশের কাজে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী সাজিয়ে একজনকে জোর করে সাক্ষী করিয়েছে পুলিশ। এদিন আদালত জানিয়েছে, ওই যুবক খুনের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়েনি এখনও। অস্বীকার করা যাবে না যে, প্রকৃত অপরাধীরা এই মুহূর্তে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ অবাক কাণ্ড হল, তা সত্ত্বেও পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে রাজারহাটের গাড়াগড়িতে ভাঙড়ের বাসিন্দা ইয়ারুল মোল্লা নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত নিয়ে আগেও প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। এই মামলায় জড়িত সন্দেহে শান্তনু মণ্ডল, বাবুসোনা বিশ্বাস, ভাস্কর বিশ্বাস, হরিদাস হাতি নামে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিচারপতি মান্থার এজলাসে অভিযুক্তদের আইনজীবী তাঁর মক্কেলদের জামিনের আবেদন করে বলেছিলেন, মৃতের পরিবার বয়ান দিয়ে জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে ইয়ারুলকে খুন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে পুলিশ ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁর মক্কেলদের জেলে আটকে রেখেছে। এই মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী রণজিৎ নাগ নামে এক ব্যক্তি আদালতকে জানিয়েছিলেন, তাঁকে জোর করে ধৃতদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দানে বাধ্য করা হয়েছে।