হরিদেবপুর: মঙ্গলবার দোলের দিন হরিদেবপুরে (Haridevpur) মহিলা খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃত ওই মহিলার স্বামী রাহুল চক্রবর্তীর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অরুণাভ পাত্র ও অর্জুন দাস নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। মঙ্গলবারই এই দুজনকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
গতকাল সকালে হরিদেবপুরের (Haridevpur) রাস্তায় উদ্ধার হয় এক মহিলার মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এরপরই তদন্তে নামে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃতার নাম ডালিয়া চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি নরেন্দ্রপুরের নয়াবাদে। সোমবার বিকেলে স্বামীকে জানিয়ে ডালিয়া চার হাজার টাকা পাওনা আনতে যান হরিদেবপুরে। তারপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:Job Seekers : শিয়ালদহে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল
স্বামীকে পাঠানো ডালিয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। আর সেই ফোনের কল রেকর্ডই খুনির সন্ধান দেয়। মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় অরুণাভকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অরুণাভর কাছেই চার হাজার টাকা আনতে গিয়েছিলেন ডালিয়া। তাকে জেরা করে অর্জুনের নাম জানতে পারে পুলিশ। অরুণাভর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ওড়না এবং একটি জুতো।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ওড়না দিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ডালিয়াকে খুন করে অরুণাভ। তারপর রাতে রাস্তায় দেহ ফেলে দিয়ে আসে। খুনের পর গা ঢাকা দিতে শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে যায় সে। পুলিশ জানায়, মধুচক্রে দালাল হিসেবে কাজ করত অরুণাভ। সেখান থেকেই ডালিয়ার সঙ্গে তার পরিচয়। সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অনুমান পুলিশের। টাকা আনতে গিয়ে অরুণাভের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ডালিয়া। তারপরই ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে ডালিয়াকে খুন করে অরুণাভ।
 মহিলা খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃত ওই মহিলার স্বামী রাহুল চক্রবর্তীর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অরুণাভ পাত্র ও অর্জুন দাস নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। মঙ্গলবারই এই দুজনকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।){kind=link}