Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাCalcutta High Court |  কুন্তল-টলিউড যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে

Calcutta High Court |  কুন্তল-টলিউড যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে

Follow Us :

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) কালো টাকা সাদা করার জন্যই টলিউডের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমুলের যুব নেতা  কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) আদালতে পেশ করে এমনটাই দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আদালত কুন্তলকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। 

ইডি সূত্রে আগেই দাবি  করা  হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তলের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, কুন্তলের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ছয় কোটি টাকা বিভিন্ন জনের কাছে গিয়েছে।এই টাকার একটা বড় অংশ টলিউডেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডি। 

আরও পড়ুন: ED Summoned Rice Mill Owners | কেষ্ট ঘনিষ্ঠ দুই চালকল মালিককে তলব ইডির 

ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি কুন্তলকে আবারও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানান। আদালতে তিনি জানান, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টলিউডের একাধিক তারকার কাছে টাকা গিয়েছে। এই টাকা শিক্ষক দুর্নীতি-কাণ্ডেই কুন্তলের কাছে এসেছে বলে ইডির দাবি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খব্র, ওই টলিউড অভিনেত্রীদের এবার একে একে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ইডির আইনজীবী আদালতে আরও জানিয়েছেন, কুন্তল টলিউডের এক অভিনেতাকে ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এক বিউটি পার্লারের মালকিনকে ৫৫ লক্ষেরও বেশি টাকা দিয়েছিলেন। ওই দুজনেই অবশ্য সম্প্রতি সেই টাকা ফেরত দিয়েছন।  

বিচারক কুন্তলের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, তাঁর মক্কেল সাড়ে ছয় কোটি টাকা কোথা থেকে পেলেন? আইনজীবীর দাবি, এর সঙ্গে কালো টাকার কোনও সম্পর্ক নেই, সবটাই সাদা টাকা। বিচারক বলেন সাদা টাকা বলে কিছু হয় না। আপনার অ্যাকাউন্টে যদি ৫০ হাজার টাকাও আসে, আপনাকে বলতে হবে তার উৎস কী। আপনি ৫ কোটি টাকা নিলেন। ইমকাম ট্যাক্স দিলেন, সেটা ভ্যালিড হয়ে গেল?  জমি বিক্রি থেকে হোক বা চাকরি থেকেই হোক, টাকার উৎস আপনাকে জানাতেই হবে। আপনি ৫০টা গাড়ি-বাড়ি করতেই পারেন। কিন্তু সে সব কোথা থেকে এল, সেই টাকার উৎস বলতে হবে। 

এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডির হাতে। কুন্তলের বস-ই শান্তনু, এমনই দাবি ইডির (ED)। শুক্রবার ইডির জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হত উপরমহল থেকে। কয়েকজন প্রভাবশালীর নির্দেশে কাজ করেছেন তিনি। কুন্তলকে সেই নির্দেশ কার্যকর করার দায়িত্ব তিনি দিতেন বলেও দাবি করেন হুগলির বলাগড়ের ধৃত যুবনেতা। পাশাপাশি এদিন শান্তনু ও কুন্তলের মোট ৩৫টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। কুন্তল ও তাঁর স্ত্রীর নামে যে সংস্থা রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলিই ফ্রিজ করেছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ছিল। একইসঙ্গে কুন্তলের ফ্রিজ করা ১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments