বোলপুর: গরু পাচার-কাণ্ডে (Cattle trafficking) অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও দুই চালকল(Rice Mill) মালিককে তলব (Summoned) করল ইডি। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে দিল্লিতে ইডি সদর দফতরে তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সঞ্জীব মজুমদার ও সিদ্ধার্থ মণ্ডল নামে ওই দুই চালকল মালিক দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রতর খুব কাছের লোক বলে পরিচিত। তাঁরা শাসকদলের সক্রিয় নেতাও বটে।
বীরভূমের আমোদপুরের একাধিক চালকল মালিকের সঙ্গে তৃণমূল(Trinamool ) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরয(Anubrata Mamdal) ওঠাবসার কথা জেলার সকলেই জানেন। এর আগেও সঞ্জীব মজুমদারকে (Sanjeev Majumder) বোলপুরে এবং নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অনুব্রতর স্ত্রী যখন টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তখন জেলার বর্ধিষ্ণু চালকল মালিক সঞ্জীব বেশ কয়েক কোটি টাকা তাঁর চিকিতসার জন্য দিয়েছিলেন।স্থানীয় সূত্রের খবর, শুধু সঞ্জীবই নন জেলার আরও অনেক চালকল ব্যাবসায়ী তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রতর স্ত্রী ছবির জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা ঢেলে ছিলেন।তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ইডি এবং সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদও করে।
ইডির দাবি, গরু পাচারের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে সঞ্জীবের কাছে আসত। সেই কালো টাকা বিভিন্ন চালকলে বিনিয়োগ করা হয়েছে।বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মণ্ডলেরও একাধিক চালকল রয়েছে। নানুর থেকে কীর্ণাহার যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে একটি সিদ্ধার্থ একটি বিশাল পেট্রোল পাম্প আছে। গরু পাচারের কালো টাকা সিদ্ধার্থ চালকলের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে বলে ইডির দাবি। কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমান, এছাড়া বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের একা্ধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করে বহু টাকার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:Recruitment Scam | প্রভাবশালীর নির্দেশে কাজ করতাম, জেরায় স্বীকার শান্তনুর
বিরোধীদের অভিযোগ, গরু পাচার-কাণ্ডে(Cattle trafficking) তৃণমূল বিধায়ক, নেতা মন্ত্রীদের যোগ রয়েছে। বিরোধী দলগুলির আরও অভিযোগ, গরু পাচারের রুটই হল বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলি। সিবিআই যথাযথ তদন্ত করলে শাসকদলের উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার আরও অনেক নেতার নাম বেরিয়ে আসবে। গত বছর গরু পাচার মামলায় কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কেরিম খানের বাড়ি অফিস ও পেট্রোল পাম্পে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উদ্ধার হয় প্রচুর টাকা। এই মামলায় এই সব ব্যবসায়ীদের হাত হয়েই বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে যেত বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়ে দিল্লিতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে। অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির হদিসের পর তাঁর ঘনিষ্ঠদের নজরে রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এবং টাকার উৎস কোথায় ? এনিয়ে তদন্তে নেমে একের পর ঘনিষ্টদের তলব করছে ইডি সিবিআই।