কলকাতা: ফের আদালতে ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই (CBI)। গ্রুপ-সি (Group C) মামলায় তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয় নীলাদ্রি দাসকে (Niladri Das)। সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুললেন বিচারক। নীলাদ্রির আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত (Sanjay Das Gupta) এদিন আদালতে বলেন, গ্রুপ-সি মামলায় গ্রেফতারের আগেই চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। চার্জশিটের পর গ্রেফতার করা হচ্ছে। চার্জশিট মানেই তদন্তের সমাপ্তি। পাশাপাশি নীলাদ্রি সহযোগিতা করেছেন সিবিআইয়ের সঙ্গে।
আইনজীবী বলেন, ৪১-এ ধারায় নোটিস দিয়ে যে দিন ডাকা হল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, সেদিনই নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করা হল। তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের পর এখন বলছে, আর হেফাজত চাই না। আবার বলা হচ্ছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। আইনজীবী আরও বলেন, ১১টায় নিজাম প্যালেসে গেলেন নীলাদ্রি। বেলা দেড়টায় গ্রেফতার করা হল। তাহলে অসহযোগিতা কীভাবে প্রমাণিত হল?
আরও পড়ুন: President Draupadi Murmu | আগামিকাল বেলুড় মঠে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি, হাজির হবেন শান্তিনিকেতনেও
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তদন্তে অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তা সত্ত্বেও নীলাদ্রি অসহযোগিতা করছেন। বিচারক বলেন, যদি অসহযোগিতাই করেন, তাহলে আপনারা তাঁর কাছ থেকে এত তথ্য পেলেন কী করে? আপনারা যদি এতই ভালো হবেন, তাহলে নীলাদ্রিকে হেফাজতে নেওয়ার দরকার কী ছিল।
এদিকে এদিনই অন্য মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা এসপি সিনহার জেল হেফাজতের আরজি জানায় সিবিআই। তাতেই বিরক্ত হয়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, একই টেপ রেকর্ডার কেন বাজাচ্ছেন আপনারা? সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তদন্ত এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। তাঁকে ছাড়লে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। বিচারক বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বলেই তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। না পারলে ছেড়ে দিন।
উল্লেখ্য, এর আগেও এসপি সিনহার প্রসঙ্গ নিয়ে আদালতে ক্ষোভের মুখে পড়ে সিবিআই। কেন শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে হেফাজতে নেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক।
শেয়ার করুন