কলকাতা: তিলজলার (Tiljala) পর এবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (Kolkata Leather Complex) । ১৬ বছরের নাবালিকা তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের ভেড়ি থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা (Kolkata Leather Complex Police station) এলাকার ভাঙড়ের (Bhangar) বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মাথায় ও সারা শরীরে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকী সারা শরীরে বিড়ি ও সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই নাবালিকার দুটি হাত বাঁধা ছিল। মৃতদেহের পাশেই একটি গামছা ও ওড়না পেয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ও অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের খোঁডে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Panchayet Election | পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট, আদালতে ধাক্কা শুভেন্দুর
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ও নাবালিকা কিছু কেনাকাটার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, ওই এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। পরিবারের তরফে ওই যুবকের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানতে পারেন, ওই দুজন বিয়ে করে নিয়েছেন এবং তারা ভালো আছে। কিন্তু তারপর রবিবারও মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানায় (Kolkata Leather Complex Police station) অভিযোগ জানায় পরিবার এবং অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এর ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ওইদিনও নাবালিকার কোনও খোঁজ পায়নি। এমনকী ঘটনার পর থেকে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার বেপাত্তা।
ওই যুবকের পরিবারের থেকে দাবি করা হয়েছিল, তাদের ছেলের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এমনকী নাবালিকার বাড়িতেও ফোন করে জানানো হয়, তারা বিয়ে করে ভালো আছে। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নাবালিকার পরিবারের দাবি, থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরই তারা তদন্তে নামে। জানতে পারে, ওই নাবালিকা এর আগেও কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। মৃতার মা বলেন, আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।