কলকাতা: শহীদ মিনার ময়দানেই হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। শর্তসাপেক্ষে মঙ্গলবার ছাড়পত্র মিলল হাইকোর্টে। সোমবার অভিষেকের সভার অনুমতি দিয়েছিল সেনাবাহিনী। বুধবার অভিষেকের সভা নিয়ে আইনি টানাপড়েন চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। শহীদ মিনার চত্বরেই প্রায় দেড় মাস ধরে অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। অভিষেকের সভার জন্য পুলিশ ওই অবস্থান আন্দোলন না করার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তাতে কান দেয়নি। পাল্টা অভিষেকের সভার অনুমতি না দেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় মঞ্চ। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার আদালত শর্তসাপেক্ষে অভিষেকের সভার অনুমতি দিয়েছে।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে যেন একই জায়গায় যেন দুটি কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া হয়। কলকাতায় আরও অনেক বড় জায়গা আছে। ট্রাফিক সামলাতে পারলে রেড রোডে অনুমতি দিয়ে দিন। আরও প্রচার পাবে। আদালত প্রত্যাশা করে, তৃণমূল ছাত্রযুবদের তরফ থেকে অশান্তির জন্য কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হবে না। যদি এরকম হয় তার ফল ভালো হবে না, হুঁশিয়ারি বিচারপতির। এর পাশাপাশি আরও কিছু নির্দেশ দেন তিনি। যেমন, সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে হবে। সভা হয়ে গেলে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে এবং সভাস্থল পরিষ্কার করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi | তুঘলক লেনে রাহুলের অনেক স্মৃতি, সরকারি বাংলো ছাড়ার চিঠিতে আবেগতাড়িত কংগ্রেস নেতা
বিচারপতি মান্থা এদিন রাজ্য পুলিশকে বেশ কয়েকটি দায়িত্বও দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, ময়দান চত্ত্বর সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা বারবার হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেয়েছেন তাঁরা। অবস্থান মঞ্চে নওশাদ সিদ্দিকিকে হেনস্তা করা হয়েছে। মঞ্চ উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একই জায়গায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাল্টা রাজ্যের তরফে জানানো হয়, পুলিশ এবং সেনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অনুমতি দিয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থানস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। বাঁশ এবং টিন দিয়ে ব্যারিকেড করা হবে। সংগ্রামী মঞ্চের দিকে কেউ যাতে ঢুকতে পারবেন না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিছু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে।