নয়াদিল্লি: ২০০০ টাকার নোট সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক গুলির কাছে জানালেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক ইমপ্লই অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি পার্থ চন্দ্র। আগামী ২৩ মে থেকে শুরু হবে নোট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। এর জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি সময় বেঁধে দিয়েছে আরবিআই।এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে ২ হাজার টাকার নোট বদল করে আনতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, কীভাবে গ্রাহকদের টাকা বদল করা হবে, টাকা বদলের জন্য আলাদা কোনও কোনটার খোলা হবে কি না সেই সমস্রক এখনও কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি।২০১৬ সালের নোট বন্দির সময় গ্রাহকদের যে হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল তার থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে এই বার সুষ্ঠ ভাবে সমাধান করা যায় সেই নিয়ে আলোচলনা চলছে।এ নিয়ে এখনও কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার মুখ খুলতে চাননি।
আরও পড়ুন: 2000 Rupees Note Denomination | কেন নোট সংবরণ, উঠছে প্রশ্ন
উল্লেখ্য, শুক্রবারই রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ‘ক্লিন নোট পলিসি’র অধীনে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার টাকার নোট। নতুন করে আর নোট ছাপানো হবে না। বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে যে ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এর জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি সময় বেঁধে দিয়েছে। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে ২ হাজার টাকার নোট বদল করে আনতে পারবেন। শুক্রবারেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে নতুন করে ২০০০ টাকার নোট আর ছাপাও হবে না। অবশ্য ২০১৮-১৯ সাল থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ভারতে সর্বাধিক মুলা এই নোট তুলে নেওয়া হলেও এখনই তাকে অচল বলে ঘোষণা করা হচ্ছে না। তাই তা নিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তারা বলেছে, কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলে চিন্তা বা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। ধীরে সুস্থে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা দিলেই হবে। এর অর্থ হল, ওই সময় সীমার মধ্যেই বাজার থেকে ওই নোট তুলে নেওয়া হবে।