কলকাতা: ম্যারাথন জেরার পর কালীঘাটের কাকুর বাড়ি ছাড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(Enforcement Directorate)। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam Case) ইডির ব়্যাডারে রয়েছে কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra) । সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি ইডির। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে তল্লাশির পর ইডি তাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন, একাধিক পেন ড্রাইভ সহ বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডি কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে সুজয় ভদ্রের বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তিনটি সংস্থার হদিশ মিলেছে। কালীঘাটের কাকুর যোগ রয়েছে ওই সংস্থা গুলির সঙ্গে। তদন্তকারী সংস্থার ধারনা ওই সংস্থার মাধ্যমে রোটি কোটি টাকার নেলদেন করা হত। কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া চলত কি? সেই প্রশ্ন এখন ঘুরছে। তল্লাশিতে অন্তত ২০ জায়গায় সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে খবর। তা ছাড়া ১৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে দেড় হাজার পাতার নথিও উদ্ধার হয়েছে। তা ছাড়া প্রচুর হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভ সহ ১১টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর।
কালীঘাটের কাকু’ অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে চলতি মাসের শুরুর দিকে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে সে বার তাঁর বাড়িতে আসে সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সুজয়কৃষ্ণ জানালেন, ইডি আধিকারিকরা যখন ঢুকছিলেন তিনি তখন বাইরে ঘুরছিলেন। ওনাদের দেখে আমি ওদের সঙ্গে নিয়ে ঢুকি। ২০০ বার তদন্ত হোক। আমার কোনও অসুবিধা নেই।এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে সুজয়কৃষ্ণের গলায়। তিনি বলেন, লোকে ইডি সম্পর্কে বাজে কথা বলেছে। আজকেও ভাল তদন্ত হয়েছে। আমার অভিযোগ নেই ওনাদের বিরুদ্ধে।
কলকাতার টিভিকে দেওয়া সাক্ষাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে চেনেন না এমনটা বলতেই পারেন না তিনি। এখনও অভিষেকের কোম্পানিতে কর্মরত তাকে চিনতে অস্বীকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করতেই পারেন না, জানালেন সুজয় ভদ্র। কুন্তলের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে থাকায় কুন্তল প্রসঙ্গে তিনি চেনেন না কথাটি বলেছিলেন সাফাই সুজয় ভদ্রের।