কলকাতা: দামামা বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote)। দিনক্ষণ ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে (Westbengal State Election Commission) ডেপুটেশন। শুক্রবার বেলা ১টায় ডেপুটেশন দেবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Sangrami Joutho Manch) প্রতিনিধিরা। এর আগেও নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
পরে রাজভবনের তরফে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরকে চিঠি দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়। এই বিষয়ে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। বুথ স্তরে পোলিং পার্সোনেলদের সেই বিষয়ে রাজ্যকে নজর দিতে বলা হয়েছে রাজভবনের তরফে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। নিরাপত্তা নিশিচত করতে হবে। কারণ এর আগে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এমনটাই দাবি তাঁদের। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটও এক দফায় হয়েছিল। সেই ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীদের মনোনয়ন না দিতে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: Load Shedding | লোডশেডিংয়ে জেরবার সাধারণ মানুষ
পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হবে না বলে ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা নিয়ে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্বাচন কমিশনার। সাংবাদিক বৈঠকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসার প্রসঙ্গ ওঠে। সে ব্যাপারে রাজীব বলেন, অতীতে কী হয়েছে, সব সময় তা দিয়ে সব কিছু বিচার হয় না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখুন। রাজ্য পুলিশের উপরও ভরসা রাখা উচিত। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) দিন ঘোষণা করতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) রাজ্য সরকারের লেজুড় বলে প্রচার শুরু করে দিল বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendhu Adhikari) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক দীর্ঘ টুইটে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল। এই প্রথম ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরে একটিও সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে একতরফা পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হল। এক দফার ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা হল না।