কলকাতা: পর্ষদের ভুলেই হেনস্তা করা হল। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এমনই জানালেন বাঁকুড়া থেকে আসা শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, “নম্বর বাড়ানোর জন্য তাঁরা মামলা করেছিলেন ২০১৭ সালে। সেই মামলায় রায় ঘোষণা হয় ২০১৮ সালে। তখন নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাঁদের। তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করা হবে, এমনই প্রস্তাব দেওয়া হলেও আদতে তা হয়নি।”
শিক্ষকরা বলেন, “২০১৯ সালে তাঁরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। তারপর ২০২১ সালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দেন। এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে স্কুলে শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন।”
আরও পড়ুন: শাসকদলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের বৈঠক বয়কট আইএসএফের
প্রসঙ্গত, সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৯৬ জন চাকরি পেয়েছিলেন। এদিকে পর্ষদের তালিকায় সেই নম্বর আপডেট করা হয়নি। সেই তালিকায় চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের অকৃতকার্য করেই রাখা হয়েছিল। আর সেখান থেকেই সন্দেহ তৈরি হয় সিবিআই আধিকারিকদের এবং তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। তলব পাওয়া শিক্ষিকরা জানান, তাঁদের কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। শুধুমাত্র তাঁরা যে পাশ করেছেন সেই সম্পর্কিত নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিয়ে এসেছেন।
বুধবার সকাল দশটায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছন স্বাধীনকুমার পাল (কাশতোড়া প্রাইমারি স্কুল), সায়ন্তনী বেজ (নাকাইজুরি তিলিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়), প্রিয়াঙ্কা নন্দী (বেলশূল্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়), প্রিয়াঙ্কা লাহা (কালিতলা প্রাইমারি স্কুল), গণপতি মাহাতো (দাঁড়কেডি জে বি স্কুল)। দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত তাঁরা নিজাম প্যালেসই ছিলেন। পরবর্তীকালে এই সব শিক্ষকদের ফের তলব করা হবে কি না তা নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েছে।