কলকাতা: আনিস মৃত্যুর ১৭ দিন পর আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিট। শুক্রবার। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। যদিও, ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও আসেনি। সিট তদন্তের অগ্রগতির জন্য আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে নিল। এদিন হাওড়া জেলা এবং দায়রা বিচারকের রিপোর্টও জমা পড়েছে আদালতে। এই মামলায় কেন এখনও থানার ওসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। পরবর্তী শুনানি সোমবার।
আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের জট কাটাতে সিট গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিস বা সিটের তদন্তে আস্থা নেই বলে জানান বাবা সালেম খান ও দাদা সাবীর খান৷ ফলে আনিস খান হত্যা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
এদিন বিচারপতি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে কি না? সিটের তরফ থেকে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী পুলিসের সামনে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু ১৬৪ ধারায় অর্থাৎ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান নেওয়া হয়নি। এরপরেই আদালত জানতে চায় সেই জিজ্ঞাসাবাদ কবে হবে? কেন ওসিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে? এই মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।
দিন কয়েক আগে আমতার দক্ষিণ খান পাড়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। তাঁর বাবা সালেম খানের অভিযোগ, পুলিসের পোশাক পরা একজন এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা তিন যুবক ছেলেকে ডাকে। বলা হয়, তারা আমতা থানা থেকে এসেছে।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: অখিলেশকে জোর করে হারানো হয়েছে: মমতা
ঘরে ঢুকে পুলিসের পোশাক পরা যুবক সালেমকে একটি ঘরে আটকে রাখে। তার হাতে বন্দুক ছিল। বাকি তিনজন ছাদে চলে যায়। সালেম জানান, তাঁর ছেলে তখন ছাদেই ছিল। কিছুক্ষণ পর ওই তিনজন নেমে এসে পুলিসের উর্দিধারীকে বলে, স্যার, কাজ হাসিল হয়ে গিয়েছে। এরপরেই চারজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে বাড়ির সামনে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। এর পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।