কলকাতা: জট কাটল না বাবুল সুপ্রিয়র শপথের। শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে শপথের বিষয়ে অনুমতি দিলেও রবিবারেও সেই জট অব্যাহত। বাবুলের অনুরোধে সাড়া দেননি রাজ্যপাল। একাধিক টুইট করে জবাব দেন বাবুলও। বাবুলের স্পিকারকে দিয়ে শপথ পাঠ করানোর অনুরোধের জবাব দিয়ে জগদীপ ধনকড়ের টুইটে লেখেন, গণমাধ্যমে এভাবে স্পিকারকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুরোধ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সংবিধান পরিপন্থী।
এরপর মুখ খোলেন বাবুল। পর পর কয়েকটি টুইট করেন তিনি। লেখেন, সংবিধান সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত। রাজ্যপালও গণমাধ্যমে লিখেছিলেন। আমিও, সম্পূর্ণ বিনয়ের সঙ্গে তাঁকে গণমাধ্যমে অনুরোধ করেছিলাম। যাতে আমাকে তাড়াতাড়ি শপথ পাঠ করানো হয়। রাজ্যপাল এই বিষয়ে দয়ালু হতে পারতেন। তাহলে পুরো বিষয়টি এড়ানো যেতে পারত। কারণ এটি রাজ্যপালের বিশেষাধিকার।
১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের জয়ী হন তিনি। তার পর প্রায় ১০ দিন কেটে গেলেও হয়নি বিধায়ক পদে তাঁর শপথগ্রহণ। কারণ, বিষয়টি নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে ফের সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নবান্নের। বাবুলের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইলটি রাজভবনে পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। ফাইলটি প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে তা পরিষদীয় দফতরের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয় রাজভবন। বেশ কিছু প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব পাওয়ার পর শপথগ্রহণের ফাইলটিতে অনুমোদন দেবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানানো হয় এমনটাই ।
এরপর রাজ্যপালকে শপথ জটিলতা কাটাতে নিজেই টুইট করেছিলেন বাবুল। তিনি রাজ্যপালকে অনুরোধ করে লিখেছিলেন, ‘সুব্রত মখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর থেকে বালিগঞ্জ বিধায়ক শূন্য রয়েছে। আমি অনুরোধ করছি শপথবাক্য পাঠ করাতে দয়া করে স্পিকারকে অনুমতি দিন, যাতে আমি কাজ শুরু করতে পারি।’
আরও পড়ুন- Open Letter to PM: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আমলাদের একাংশ প্রধানমন্ত্রীর পাশে, পালটা খোলা চিঠি
He had written in public domain. I too, with all humility, requested him in public domain to consider that I be administered the oath at the earliest.Governor could have been kinder & this entire thing could have been avoidable because it is prerogative of Governor: Babul Supriyo pic.twitter.com/i3aNtEUlw2
— ANI (@ANI) May 1, 2022
শনিবার দীর্ঘ টানাপড়েনের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে শপথের বিষয়ে তাঁর অনুমতির কথা জানিয়েছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে বালিগঞ্জের এই তৃণমূল বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুসারে শনিবার এই অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল । কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই স্পিকারকে দিয়ে শপথ পাঠ করাতে আপত্তি ছিল রাজ্যপালের। তাই ডেপুটি স্পীকারে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি না করায় আবার শপথ নিয়ে জট তৈরি হয়। এরপরেই রবিবার এই বিষয়ে আবার টুইট করেন বাবুল।