কলকাতা: রাজ্য জুড়ে দখল মুক্ত অভিযান অব্যাহত। বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠক থেকে হকারদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের আমলা, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, হকার উচ্ছেদ রাজ্য সরকারের লক্ষ্য নয়। কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই। রাজ্য সরকার হাকারদের পাশেই আছে বলে জানান মমতা।
পাশাপাশি এদিন হকার উচ্ছেদ নিয়ে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটিও গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কমিটিতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ হকার ইউনিয়নদের সদস্যদের রাখার হয়েছে। পরে ওই কমিটির সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। ওই কমিটিকে আজ থেকেই সার্ভে করার কথা বলা হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। উচ্ছেদের নামে যাতে কোনও হকারের পেটে লাথি না মারা হয়, তার জন্যই এই কমিটি বলে ঘোষণা করেন মমতা। বেদখল হয়ে যাওয়া বহু জমি থেকে দখলদারদের সরানো শুরু হয়েছে। দখলদারদের সরাতে মাইক নিয়ে প্রচার করা হয় কোথাও। কোথাও আবার সরাসরি বুলডোজ়ার বা পেলোডার নিয়ে অবৈধ দোকানপাট এবং নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, দখলমুক্ত করতেই যে বুলডোজার চালানো হবে তা মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবে নেননি। সেটা আজকের বৈঠকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই সবখতিয়ে দেখতে আজ থেকেই প্রশাসনের আধিকারিকদের নেমে পড়তে বলেন।
আরও পড়ুন: দখলমুক্তি অভিযান নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে ফের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক একজন হকার চারটি করে ডালা বসাচ্ছেন। হকার ইউনিয়নদের দেখা উচিত। হকারির জায়াগায় গোডাউন তৈরি করে রেখেছে। একজন হকার একটিই জায়গা পাবেন। বলছি না হকারদের সরিয়ে দেওয়া হোক, একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া হোক তাঁদের। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না বলেও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, যত বড় নেতাই হোক কাউকে ছাড়া হবে না। হকারদের থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ হোক নেতাদের। প্রথমে বসাবেন, তারপরে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করবেন, তা হবে না। ভাবছে মাসে মাসে চাঁদা পেলাম, রাস্তা দিয়ে দিলাম। এইসব চলবে না। যে নেতার এলাকায় এরম হচ্ছে, তাদের গ্রফতার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেখুন আরও অন্যান্য় খবর: