নরেন্দ্রপুর: নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur police station) পুলিশ লকআপে বন্দির মৄত্যুর ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল৷ এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে নরেন্দ্রপুর থানা ও তদন্তকারী অফিসার অর্নব চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার৷ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার পুষ্পা৷
সূত্রের খবর, গড়িয়ার (Garia) বাসিন্দা সুরজিত ওরফে সাহেব সর্দারকে (Saheb Sardar) ১৩ তারিখ দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ যদিও পুলিশের নখিতে ১৪ তারিখ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে৷ চুরির মামলা দায়ের হয় অভিযুক্তের নামে৷ এর আগেও নরেন্দ্রপুর থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয় সাহেবের নামে৷ অভিযোগ রয়েছে সোনারপুর থানাতেও৷ একাধিকবার গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত৷ ধৄত নেশায় আসক্তি ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ দুবার তাকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তিও করা হয়।
আরও পড়ুন:Satyapal Malik | সত্যপাল মালিকের পাশে বিরোধীরা
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ২০ তারিখ থানা লকআপেই অসুস্থ বোধ করে সুরজিত ওরফে সাহেব৷ প্রথমে তাকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে এমআরবাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ সেখানেই ২১ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার মৄত্যু হয়৷ পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। মৄতের দাদা সুব্রত সর্দার জানান তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়৷ দু দফায় মোট ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন তারা৷ আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ তাঁর ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ সাহেবের দাদার৷ একই কথা বলেন সাহেবের আরেক দাদা সুভাস সর্দারও৷ তিনি বলেন, কী কারণে তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ। পুলিশ লকাপে কী ভাবে মৃত্যু হল তা জানতেই যথাযথ তদন্ত দাবি সাহেবের দাদা সুভাস সর্দারের৷
পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৄত্ব৷ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনার ন্যায় বিচার পেতে প্রয়োজনে তারা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন৷ এমনকি সিবিআই তদন্তও চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এসপি অফিসের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা নরেন্দ্রপুর থানায় যান। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।