সিবিআই ইডির আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাদের মেয়াদকাল বাড়ানো হল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “এফিসিয়েন্ট অফিসারদের সময়কাল বাড়িয়ে দিলে তাঁদের কাছ থেকে সেবা পাওয়া যায়, এর মধ্যে দোষের কি আছে।” সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, পশ্চিমবঙ্গের চিফ সেক্রেটারি অবসর নেওয়ার পর তাঁকে ফের কাজে লাগানো হচ্ছে। সব ডিপার্টমেন্টে অবসর প্রাপ্ত লোকেদেরই ভিড়। নতুনরা চাকরি পাচ্ছে না। তাঁর কথায়, “যারা সমালোচনা করেন তারাই তো এগুলো শুরু করেছেন। আমরা জানি সব জায়গায় এমনিতে স্টাফ কম আছে। অভিজ্ঞ লোকও খুব কম আছে। যারা অভিজ্ঞ তাদের কাজে নিলে সরকারেরই লাভ,” বলে জানান দিলীপ ঘোষ।
দলের লোকেরাই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করছে দলেরই কিছু লোকের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন স্বার্থে লোকে এসব করে থাকে। এর কোনও প্রমাণ লাগে না। কিন্তু যারা জেল খেটে এসেছে, যাদের নামে কেস চলছে। সেটা তো আর প্রমাণ করতে হবে না। দিনের পর দিন তারা জেল খেটে বড় বড় কথা বলছে। আমি বলেছিলাম ত্রিপুরাতে চোর ডাকাতরা গেছে, তাদের দেখে রাখুন। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনও কেস করিনি।” দিলীপ ঘোষ আরো জানান, যত দাগী নেতাদের ওখানে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও হিংসার মামলা আছে। পুরো তৃণমূল দলটি দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে বলে মত তাঁর। বিজেপি সম্পর্কে যা অভিযোগ আছে, তার অনেকটাই গুজব বলে জানান তিনি। এর জন্য বিজেপির কোনও রকম দায় নেই।
নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কোর্ট কাছাড়িতে যে কেউ যেতে পারে। কোর্ট যেমন নির্দেশ দেবে সেটা মানতে হবে। সহযোগিতা করা উচিত সবাইকে।” এরপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রসূনের মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বক্তব্য, “এটা ওদের ব্যাপার। কে কাকে ঢুকতে দেবে না দেবে। ওই পার্টিটাই ওইরমক। সেখানে নিজস্ব সবার ব্যবসা চলে। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে চায় না। তার জন্য দেখছেন না গুলি বন্দুক পুলিশকে মন্ত্রীকে মেরে ফেলে দিচ্ছে, এটাই টিএমসির কালচার। পশ্চিমবাংলার রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি ও হিংসা ঢুকিয়ে দিয়েছে ওরা।”