কলকাতা: নিয়মের গেরোয় মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না জলপাইগুড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী মলয় ব্যানার্জি(Jalpaiguri TMC Clash)। জলপাইগুড়ি পুরসভার রিটানিং অফিসারের হাজিরার(WB Civic Polls) পর তাঁকে এবার হলফনামা দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ৭ দিনের মধ্যে জানাতে হবে, কেন মনোনয়ন দাখিল করা গেল না ওই নির্দল প্রার্থী’র।
গত মঙ্গলবার মলয়বাবু মহকুমাশাসকের অফিসে যান মনোনয়ন জমা দিতে৷ অভিযোগ, পুলিসের বাধায় তিনি মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি৷ বুধবার মনোনয়ন জমা দিতে গেলে পুলিস আবারও তাঁকে আটকে দেয় এবং গ্রেফতার করে৷ প্রশ্ন ওঠে, পুলিস কেন তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিল? ক্ষুব্ধ মলয়বাবু আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের মাধ্যমেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ তিনি একটি ই-ফাইলও করেন৷
এদিকে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় বিচারপতি রবিকিষান কাপুরের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রিটার্নিং অফিসার৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে চলছেটা কী? কেন জলপাইগুড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হল না? রাজ্য আর রাজ্য নির্বাচন কমিশন একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছে৷ বাম হাত ডান হাতকে দেখাচ্ছে৷ আর ডান হাত বাম হাতকে দেখাচ্ছে৷’ এরপরই তিনি জলপাইগুড়ি পুরসভার রিটার্নিং অফিসার এবং মহকুমা শাসককে তলব করেন৷ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রিটার্নিং অফিসার এবং মহকুমা শাসক আদালতে হাজিরা দেন।
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: ভোট ভাগ করতে বামেদের তুলে ধরছে তৃণমূল, প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদারের
সোমবার বিচারপতি কাপুর বলেন, নিয়মের ফেরে মনোনয়ন দাখিলের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আদালতের হাত বাঁধা। এসডিও জানার পরেও মনোনয়ন দাখিল হয়নি। আমাদের গণতন্ত্র এমনই যে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলেও নাগরিকের সেই সুযোগ মেলে না অনেক সময়ই। বিচারপতি রিটার্নিং অফিসারকে ৭ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে বলেছেন, কেনও ওই নির্দল প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারলেন না। পরবর্তী শুনানি আবার ১ মার্চ।