কলকাতাঃ ঢোলাহাট থানায় আবু সিদ্দিকিকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার নিহত আবুর পরিবারের আইনজীবী ওই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, আবুর জামিন নিশ্চিত করতে পুলিশকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। একটি চুরির ঘটনায় সন্দেহের বশে আবুকে পুলিশ ধরেছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরিবারের অভিযোগ, ঢোলাহাট থানায় আবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। জামিনে মু্ক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরার পর আবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ঘোরার পর পার্ক সার্কাসের এক নার্সিং হোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার এবং বুধবার ঢোলাহাট থানার সামনে স্থানীয় মানুষ তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের সঙ্গে মঙ্গলবার জনতার খণ্ডযুদ্ধ হয়।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ময়না তদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং সংরক্ষণ করতে হবে। কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের ৪ জুলাইয়ের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ওই হাসপাতালেই প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আবুকে। একই সঙ্গে আদালত আরও বলেছে, যে নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে আবুর, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করতে হবে। যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামিকাল শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, কঠোর শাস্তির দাবি পরিবারের
এদিন রাজ্যের আইনজীবী বলেন, গত ৩ জুলাই নিহতের কাকা মহসিন হালদার থানায় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ৪ জুলাই ভোর ৩টে ৪৫ মিনিটে আবুকে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরের দিন আদালত জামিনে মুক্তি দেয় তাঁকে। আইনজীবী আরও দাবি করেন, মৃতের জন্ডিস ছিল। তাই তাঁর ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি ছিল। যদিও ঘটনার পর জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন না।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: