কলকাতা: পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত কাদের খানের বিচারপর্বে গ্রাহ্য হবে না সুজেট জর্ডনের বয়ান। শুক্রবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডের প্রথম পর্যায়ে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিচারপর্ব শুরু করে নিম্ন আদালতে। সেখানে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যু হয়। তার পর কাদের খানকে হেফাজতে নেয় পুলিস।
প্রথম ৪ অভিযুক্তের বিচারপর্বে নির্যাতিতার বয়ান সহ তাঁর দেওয়া বাকি তথ্য কাদের খানের বিচারপর্বেও ব্যবহার করার জন্য নিম্ন আদালতে অনুমতি চায় পুলিস। সেই অনুমতি দেয় নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন জানান কাদের। সেই মামলাতেই আজ এই নির্দেশ দিল আদালত।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্ক স্ট্রিটে একটি পাঁচতারা নাইট ক্লাবের বাইরে থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনায় সুমিত বজাজ, নাসির খান আর রুমান খান গ্রেফতার হন। কাদের ও আলি ফেরার ছিলেন। কাদেরকে ধরার চেষ্টা হলেও তিনি পালিয়ে যান। পরে, ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদ থেকে কাদের ও আলিকে পাকড়াও করে লালবাজার। ২০১৮ সালের এপ্রিলে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: BJP worker’s Death: কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারে জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অন্য তিন অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল কলকাতার নগর দায়রা আদালত। তার আগেই, ২০১৫-র ১৩ মার্চ এনসেফ্যালাইটিসে মারা যান নির্যাতিতা। সাজার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন ওই মহিলার বাবা।