কলকাতা: আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানান নন্দলাল তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য শুনতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
সোমবার মামলার শুনানিতে আইনজীবী শুভঙ্কর নাগ বলেন, চিকিৎসকেরা পরিষেবা দিচ্ছেন কিন্তু তাঁদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইন্টার্ন বা জুনিয়ার ডাক্তাররা কোনও সহযোগিতা করছেন না। বহু মহিলা ডাক্তার রয়েছেন। বিক্ষোভের কারণে চিকিৎসকেরা আতঙ্কে রয়েছেন। হাসপাতালের ভেতরে এই ধরনের বিক্ষোভ অনভিপ্রেত। আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ নির্মল-শান্তনুরা, অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে অনড় আরজিকরের পড়ুয়ারা
এর পর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বিচারপতি বলেন, আপনি অবিলম্বে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের খবর পাঠান। অতি দ্রুত তাঁরা যেন সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন। প্রয়োজনে ভার্চুয়াল মাধ্যমেও বক্তব্য জানাতে পারেন তাঁরা। মামলার শুনানি দুপুর ২টো ৩০-এ। তার আগেই তাঁরা উপস্থিত হতে পারলেও কোনও অসুবিধা নেই। ছাত্রদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন।
আরজিকরের কলেজের পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রিন্সিপ্যাল স্যার গত তিনমাস ধরে কলেজে ভয় ভীতির পরিস্থিতি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারের তরফে বিস্তর চেষ্টা করা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব সেরার শিরোপা আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসকের
অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেন, বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করে ওঠা সম্ভব হয়নি। আমি চেষ্টা করছি ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। বিচারপতি বলেন, চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আন্দোলনের অধিকার আছে বিক্ষোভকারীদের। সেটা হাসপাতালের পথ আটকে নয়।