ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। এ বার খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে সুরঞ্জন দাস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর মেয়াদ বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে বুধবার নির্দেশিকা জারি করে সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনুমোদন চেয়ে আগেই নোট পাঠানো হয় রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে। রাজ্য়পাল সই না করে সেই নোট ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর তা নিয়েই নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত।
উচ্চশিক্ষা দফতর বুধবার এক নির্দেশিকায় জানায়, গত ১৯ ও ২২ জুন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। অথচ রাজ্যপাল সেই প্রস্তাবে এখনও পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি।
আরও পড়ুন রাজ্যপাল ও সরকারের দ্বৈরথ চলছেই
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ যাতে খালি না পড়ে থাকে সেই কারণেই সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। এর আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অনুরাধা লেহিয়ার নাম প্রস্তাব করে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলেও রাজ্যপাল অনুমোদন দেননি। যার ফলে উচ্চশিক্ষা দফতর প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ দু’বছর বৃদ্ধি করেছিল। রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের পরিবর্তন আনতে চলেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। নতুন নিয়মে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। এমনকি এ বিষয়ে রাজ্যপালের ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিয়মের এই বদল নিয়ে ঘোর আপত্তি রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। আগামিদিনে উপাচার্য নিয়োগের নয়া বিধি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেই মনে করছে উচ্চশিক্ষা দফতর। শুধু তাই নয় চলতি বছর রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ শূন্য হতে চলেছে। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সার্চ কমিটি পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি।