
কলকাতা: ভুয়ো ভুয়ো ওবিসি শংসাপত্র (OBC Certificate) ইস্যুতে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ার পর অবশেষে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তদন্তে উঠে এসেছে খড়গপুর ও ব্যারাকপুরের দুই আধিকারিকের নাম, যাদের ইতিমধ্যেই শো-কজ করা হয়েছে। অভিযোগ, এই দুই ইন্সপেক্টর র্যাঙ্কের আধিকারিক গত দুই বছরে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে বহু মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছেন। অভিযোগ জমা পড়ার পরই নবান্নের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, শংসাপত্র জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়—দুই বছর আগেই এই জাল শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চিহ্নিত করার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: শৈলজানন্দ স্মারক পুরস্কার পাচ্ছেন গৌতম ভট্টাচার্য
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, পদ বা অবস্থান দেখা হবে না। ইতিমধ্যে দফতরের তরফ থেকে বিষয়টি চূড়ান্ত তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) সংরক্ষণ নীতির অপব্যবহারের অভিযোগও সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অন্তত ৪৫টি জাতিগত শংসাপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা গবেষণার কাজে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
দেখুন আরও খবর: