কলকাতা: সাংবাদিক সম্মেলনেই সুর চড়িয়েছিলেন (Bratya Basu)। রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসানোর ভাবনাচিন্তার কথা বলেছিলেন। টুইটে ফের সুর চড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। এ বার অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার কথা বলেননি। এই পদে গবেষক-শিক্ষাবিদদের নিয়োগের দাবি তুলেছেন ব্রাত্য।
শিক্ষামন্ত্রী টুইটে লেখেন, ঔপনিবেশিক প্রথা অনুযায়ী পদাধিকার বলে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত, না কি এই পদে বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদদের মনোনীত করা উচিত, তা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণের সময় এসেছে। এই টুইটে জেরে নবান্ন এবং রাজভবনের চাপানউতোর নতুন মাত্রা পেতে পারে।
রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। শুক্রবার এমনই ভাবনাচিন্তার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করার কথা। যদি এই ভাবনাচিন্তায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যায়, তাহলেই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষাকাঠামো অনুসারে যে কোনও রাজ্য নিয়ন্ত্রণাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হয়ে থাকেন সেই রাজ্যের রাজ্যপাল। রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক পদমর্যাদায় এই পদটি লাভ করেন। একই রকম ভাবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন পরিদর্শক তথা ভিসিটর। সেই হিসেবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা, যাদবপুরের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড়।
It is high time to introspect whether we should continue with the colonial legacy of the Governor being the Chancellor of Universities just by the virtue of his post or we should nominate eminent scholars and educationists as Chancellors.#WestBengal #BratyaBasu #Education
— Bratya Basu (@basu_bratya) December 24, 2021
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘এমন আচার্যের উপস্থিতির জন্যই রাজ্যে শিক্ষায় দুরবস্থা তৈরি হচ্ছে। কোনও বিল পাঠালে তা আটকে রাখছেন। কোনও সহযোগিতা করছেন না।’ ব্রাত্য আরও বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতবিরোধ হতেই পারে। তবে সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। ব্রাত্যর কটাক্ষ, আলোচনায় যেতেই চান না এই রাজ্যপাল।