কলকাতা: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে গ্রপ-সি (Group C) চাকরির জন্য ইন্টারভিউয়ের (Interview) ডাক পেলেন ১০০ জন প্রার্থী। অনির্দিষ্ট কালের জন্য মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল ছিলেন তাঁরা। অবশেষে হাইকোর্টের (Highcourt) হস্তক্ষেপে চাকরি পেতে চলেছেন বর্ধমান, হুগলি এবং বীরভূমের মোট ১০০ জন চাকরি প্রার্থী। এদিন ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে তাঁদের একাংশের দাবি, অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এর পরেও তাঁরা আশাবাদী। এবার দুনীতিমুক্ত নিয়োগ হবে। একইসঙ্গে তাঁদের আবেদন, যাঁরা এখনও আন্দোলনরত কিন্তু ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পায়নি, তাঁরাও যেন কোনও ভাবে বঞ্চিত না হয়। তাঁদেরও যেন চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, স্কুলে-স্কুলে চাকরি যাওয়া ৭৮২ জন গ্রুপ-সি (Group C) শিক্ষাকর্মীর শূন্য পদে নতুন নিয়োগে আপাতত প্রথম দফায় মাত্র ১০০ জনের কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীরা। কিন্তু গ্রুপ-সি (Group C) কাউন্সেলিংয়ে উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta Highcourt)।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee | সুজন, দিলীপ, শুভেন্দুও তদ্বির করেন, দাবি পার্থর
গতকাল আদালতে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ,এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, চাকরিহারা লোকজন স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমোদন নিয়ে কাজে যোগদান করেছিলেন। তাই কাউন্সেলিংয়ের আগে এই তিন সংস্থার ভূমিকা যেন খতিয়ে দেখা হয়। প্রশ্ন ওঠে গাজিয়াবাদ মুল্ল্যয়নকারী সংস্থা নাইসা (NYSA) ভুমিকা নিয়েও। চাকরিহারাদের আইনজীবী বলেন, উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সড়ককার যেখানে এই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করে সেই সংস্থাকেই বরাত দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)কমিশনের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওই একক সিদ্ধান্তে গাজিয়াবাদের ওই সংস্থাকে ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কমিশনের একাধিক অফিসার আদালতকে সেকথাই জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ ছিল, বিধাননগরে কমিশনের অফিসে সার্ভার রুমে সুবীরেশ ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। সিবিআই গাজিয়াবাদে গিয়ে তদন্ত করে নাইসার কারচুপি ধরে।
এদিকে, কমিশন আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা ওএমআর পরীক্ষা করে বিকৃতি খুঁজে পেয়েছেন। তার পরেই সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি খুব খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগছে। খুব তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী। শুনানি শেষে এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।