কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আলিপুরে (Alipur) উদ্বোধন করলেন বিশ্বমানের অডিটোরিয়াম। সেখানে অডিটোরিয়াম, থিয়েটার হল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের হরেক আয়োজন। বৃহস্পতিবার সেখানে তিনি জানালেন, এবার গ্রাম বাংলা জুড়ে ১৩৩টি কমিউনিটি সেন্টার (Community Centre) হবে। সেখানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে। এদিন আলিপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়ামের (Dhonodhanyo Audot` উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গ্রামীণ এলাকায় ওই কমিউনিটি সেন্টার রাজ্যসভার সাংসদদের সংসদ তহবিলের টাকায় করা হবে।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে নান্দনিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে গাজলডোবা থেকে মংপু, জগন্নাথ ধাম পর্যন্ত। তিনি জানান, রাজারহাটে বিশ্বমানের যে কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছ তা শুধু দেশে নয় বিদেশেও কম জায়গাতে আছে। পুরীর জগন্নাথ ধামের আদলে দীঘায় গড়ে উঠছে জগন্নাথ ধাম। ইতিমধ্যে তার অর্ধেক কাজ হয়েছে। বড় আকারে তা গড়ে উঠছে। গাজলডোবায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জায়গার সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইকো ট্যুরিজম পার্ককে বিশ্বমানের করার কথা উঠে আসে। মাদার ওয়াক্স মিউজিয়ম থেকে নবান্ন, ধনধান্য, অনুষ্ঠানে তাঁর কথায় ছিল মেঠো সুর।
আরও পড়ুন: Summer Vacation | স্কুলে গরমের ছুটি ২ মে থেকে, জারি সরকারি নির্দেশিকা
আলিপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়াম প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা অডিটোরিয়াম। শঙ্খের আদলে তৈরি করা হয়েছে এই অডিটোরিয়াম। চার একর জমির উপর করা হয়েছে। এখানে আসন সংখ্যা ২৪০০। প্রায় ৮০০ গাড়ি পার্ক করা যাবে। আলিপুরে চিড়িয়াখানা, একাধিক অডিটৈারিয়াম রয়েছে। সেসব জায়গায় যাঁরা আসেন তাঁদের গাড়ি এখানে যাতে পার্ক করা যায় তা তিনি পুলিশকে দেখতে বলেন। গাড়ির নম্বর দিয়ে সেই গাড়ি যাতে ডেকে নিতে বলতে পারেন দ্রুত তা কার্যকর করার জন্য খতিয়ে দেখতে বলেন। শিল্পীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম বাংলায় কমিউনিটি সেটার তৈরির কথা জানান। এই অডিটোরিয়ামের উদ্বোধনে এসে নস্ট্যালজিক হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। কখনও তিনি ফিরে যান ছোটবেলায়। কখনও বিদেশে গিয়ে অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে কীভাবে বুদ্ধির জোরে কাজ হাসিল করেছেন সেকথা বলেন। বারবার সাংস্কৃতিক মনস্কতার কথা উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তিনি নিজেই জানান তাঁর ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা সঙ্গীত প্রীতির কথা। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা উঠে আসে।