সিউড়ি: আত্মহত্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বগটুই (Bagtui) গণহত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের। ময়না তদন্তের (PM report) রিপোর্টে মৃত্যুর কারণে সেটাই উল্লেখ রয়েছে। ‘নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্কের (non continuous ligature mark) কথা উল্লেখ রিপোর্টে। সাধারণত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে এই মার্ক থাকে।
পাশাপাশি, মৃত লালন শেখের (Lalan sk) শরীরে আরও তিনটি দাগের কথায় উল্লেখ রয়েছে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে। তার মধ্যে বাম পায়ের উরুতে ২ টি এবং ডান পায়ের উরুতে ১টি দাগ রয়েছে। তবে এই আঘাতগুলি গুরুতর নয়। এই আঘাতের কারণে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে না এমনটাই মনে করছেন ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞ মহল । গত ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে (cbi custody) মৃত্যু হয় লালন শেখের । রামপুরহাটে সিবিআই (CBI) এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এরপরই লালন শেখের স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে খুন করেছে সিবিআই ।
আরও পড়ুন: Murshidabad TMC Leader Death: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কর্মী খুন
বীরভূমে বগটুই গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল লালন শেখের। যে ঘটনায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পাকুড় (Pakur) থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। তাঁর পরিবারের (Family) তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, খুন করা হয়েছে লালনকে।