নয়াদিল্লি: সুপ্রিয়া সুলে (Supriya Sule) ছাড়াও প্রফুল্ল প্যাটেলকে (Praful Patel) এনসিপির (NCP) মূল দায়িত্ব দেওয়া হল। তাঁদেরকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়েছে। এই বিষয়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিক এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) জবাব দিয়ছেন অজিত পাওয়ার কেন কোনও পদ পাননি। শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনার পর অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) মুষড়ে পড়েছেন। এই বিষয়ে শরদ পাওয়ার শনিবার বলেন, অজিত মুষড়ে পড়েছে এটা সত্য নয়। কারণ ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র (Maharasthra) বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার (Leader of Opposition) পদ সামলাচ্ছে অজিত। এদিন শরদ পাওয়ার বলেন, প্রত্যেক কার্যনির্বাহী সভাপতি তিন থেকে চারটে রাজ্যের দায়িত্বে থাকবেন। দুমাস ধরে এই বিষয়ে দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শরদ পাওয়ার এদিন আরও বলেন, সুপ্রিয়া সুলে ও প্রফুল্ল প্যাটেলের নাম দলের নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার তারই ঘোষণা করা হল। সুপ্রিয়া সুলেকে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হরিয়ানা, পঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রফুল্ল প্যাটেল দেখবেন মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, গোয়া, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ড। সুপ্রিয়া সুলেকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান করা হয়েছে। সুপ্রিয়া সুলেকে নির্বাচন কমিটির প্রধান করা হয়েছে কারণ তিনি লোকসভায় অভিজ্ঞ। এটা সাংসদ হিসেবে তাঁর তৃতীয় দফা। জুলাই মাসে পার্টির জেনারেল বডির মিটিং হবে। শরদ পাওয়ার বলেন, অবিজেপি দলগুলিকে এক জায়গায় আনা তাঁর লক্ষ্য হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার করবেন তিনি। জুন মাসের ২৩ তারিখ পাটনায় বিরোধীদের বৈঠক নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, আশা করছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শরদ পাওয়ার বলেন, মানুষ পরিবর্তন চাইছে। পাটনার মিটিংয়ে তার একটি দিক নির্দেশিকা পাওয়া যাবে। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: TMC Inner Clash | নানুরে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
পাওয়ার এদিন ব্যাখ্যা করে বলেন এটার জন্য চিন্তা নেই যে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী নেই। ১৯৭৬-৭৭ সালে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনের পর জনতা পার্টি গঠন হয়। মোরারজি দেশাইকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তখন যদি এটা হতে পারে। এখনও সেটাই হেত পারে। বিরোধীরা একসঙ্গে ভোটে লড়লে মানুষকে বিকল্প দেওয়া সম্ভব হবে। বিরোধীরা একসঙ্গে লড়বে কি না সেটা ঠিক করাই সব থেকে বড় ইস্যু। বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেন, কর্নাটকে বিজেপি হনুমানের নামে ভোট চেয়েছিল। মানুষ তা গ্রহণ করেনি। তা নির্বাচনের ফলেই পরিষ্কার।