কলকাতা: রবিরার সন্ধেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে উদ্ববোধন হল নবনির্মিত মেম্বার্স লাউঞ্জের। উদ্ববোধনী অনুষ্ঠানে লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তবে এদিনও দুই মন্ত্রীর মুখেই শোনা গেল একই কথা। তাঁদের মতে, স্পনসর এবং কর্মকর্তাদের গন্ডগোলে ভালো দল গড়ার লক্ষ্য থেকে সরে আসছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “আমরা ছোট থেকে যে ইস্টবেঙ্গলকে চিনতাম, যে মশালটা নিয়ে দৌড়তাম, সেটা কিন্তু আস্তে আস্তে আমাদের থেকে সরে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই ক্লাব কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন, সমস্যাটা হচ্ছে স্পনসরদের তরফে। অসম লড়াই তো হয়।না।“ এরপর অরুপ বিশ্বাস উদাহরণ সরূপ মোহনবাগান ক্লাবের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের মধ্যে লড়াই হয় তবে কেন এই দুই ক্লাবের স্পনসরদের মধ্যে ভালো টিম গড়া নিয়ে লড়াই হবে না?
আরও পড়ুন: IPL 2023 | KKR vs PBKS | কলকাতার প্লে অফের রাস্তা কঠিন, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আজ কাঁটা ইডেন!
এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বারটি উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “ভালো ফুটবলের জন্যই ইস্টবেঙ্গলকে চেনন সকলে। সেই ফুটবল না থাকলেই আপশোস।“ প্রসঙ্গত, হুগো বুমোস ইস্টবেঙ্গলে আসতে চলেছেন। এই নিয়ে হাজারও জল্পনা তৈরি হয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। আদৌ কি তাঁকে নিতে পারবে ইস্টবেঙ্গল?
এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি রয়েছে বুমোসের। তাঁকে পরবর্তী সিজনে নিতে গেলে শুধু ট্রান্ফার ফি ২ কোটি টাকা গুনতে হবে লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষকে। অতএব এতগুলো টাকা খরচ করে বুমোসকে দলে আনা বোকামি হবে। এই টাকায় ভালো মানের বিদেশি পেয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। বুমোস এখনই ইস্টবেঙ্গলকে যোগ দিচ্ছে কি না সেই বিষয় তৈরি হয়েছে জল্পনা।
অন্যদিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফার্নান্দো বুমোসকে ছাড়তে চাইছেন না। তবে জানা যাচ্ছে, এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের আচরণে খুশি নয় সবুজ মেরুন শিবির। তাঁকে ছাড়তে চাইছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।