আবার মরু শহরে মহারণ। আবার মুখোমুখি ভারত – পাকিস্তান। গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল ভারত। শেষ ওভারে। সেই ম্যাচে তিন নায়কের মধ্যে একজন রবীন্দ্র জাদেজা হাঁটুর চোট নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অস্ত্রোপচার করতে হবে। বেশ কয়েক মাস তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। পরিবর্ত হয়ে অক্ষর প্যাটেল দলে যোগ দিয়েছেন। হার্দিক আর বিরাটের সঙ্গে সকলে তাকিয়ে রোহিত – রাহুলের ব্যাটের দিকে। জাদেজা না খেলায় ভারতের মিডল অর্ডারে লেফট হ্যান্ড ব্যাটার নেই। সেক্ষেত্রে রোহিত – রাহুলরা ঋষভ পন্থকে খেলান কিনা তাই দেখার। উইকেট “স্লো আর লো” হয়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে টিম ইন্ডিয়া অশ্বিনকে প্রথম একাদশে নিয়ে নামতেই পারে।
https://twitter.com/JaweriaCric/status/1566334000393846785?t=NESWjrdeeEa-7wIign9kPg&s=19
পাকিস্তান তাকিয়ে নেতা বাবার আজমের দিকে। এখনও বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটারটি রানের মধ্যে ফেরেন নি। ভারতের বিপক্ষে বেশি রানের ইনিংস না গড়তে পারলেও, হংকংয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে, সেই গা গরম করাটা সেরে নিয়েছে পাক দল। দেখার বিষয় একটাই, ১০ দিনের মধ্যে “সুপার সানডে” তে শেষ হাসি কোন দল হাসে।
ম্যাচ হেরেও ম্যাচের সেরা আফগান ব্যাটার:
ম্যাচ হেরেও সেই দলের ব্যাটার ম্যাচের সেরা হলেন। এতে বোঝা যায় আফগানিস্তান ক্রিকেট কতটা এগিয়ে গেছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর লিগ শুরু হয়ে গেল। শনিবার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অপরাজেয় আফগানিস্তান আর আর্থিক অস্থিরতায় জেরবার শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে শেষমেষ ৪ উইকেটে জিতেছে লঙ্কা বাহিনী। কিন্তু আফগান ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজের খেলা ৪৫ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিল। ৪টি চার আর ৬ টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ইনিংসটিও জেতাতে পারেনি আফগান দলকে।
রহমানুল্লাহ গুরবাজের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেনি। তাঁর ব্যাটিংয়ে ভর করে দল ১৭৬ রান তোলে। টি টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো স্কোর। শ্রীলঙ্কা ১০ ওভারের ২ উইকেটে ৮২ রান তোলে। ১৫ ওভারে পৌঁছে যায় ৪ উইকেটে ১২৭ রানে। সেই সময় ম্যাচ জিততে লঙ্কাকান্ড দরকার ছিল। চাই ৩০ বলে ৪৯ রান।
সেখান থেকে ক্যামিও ইনিংসটি খেলে দেন ভানুকা রাজাপক্ষ ( ১৪ বলে ৩১ রান, ৪টি ৪ আর একটি ছক্কা) আর দানুষ্কা গুনাথিলাকা ( ২০ বলে ৩৩ রান, ২টি চার আর ২টি ছক্কা )। ডেথ ওভারে শ্রীলঙ্কা বোলারদের মত কিছু করে দেখাতে পারেনি আফগান বোলাররা। তাতেই হার, আর লঙ্কার জয়
ভাগ্য এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ছিল। তা না হলে, ১৬ তম ওভারে রাজাপক্ষ যখন চার – ছক্কা মারছেন, তখনই ক্যাচ দিয়ে রেহাই পান!
এমন কি ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রশিদ খান বল করতে এসে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। দুই ডান হাতি ব্যাটার ক্রিজে তখন। কুশল মেন্ডিস পর পর দুটি চার মেরে দেন। তাতে শ্রীলঙ্কা ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলে ফেলে। আফগানিস্তানের আলগা ফিল্ডিং আর ক্যাচ ফেলেই ম্যাচ হেরে গেল।
https://twitter.com/FarhadAfzalAfr/status/1566305223995432963?t=6y8bAullqcU9poXnPe2rmQ&s=19
আফগান দলের ব্যাটিংয়ের সময় টার্গেট একটাই ছিল, পাওয়ার প্লে থেকে যতটা পারা যায় ফায়দা তোলা। ওপেনার গুরবাজের দাপটে প্রথম ৬ ওভারে এক উইকেটে ৪৯ রান এসেছিল। উইকেট ছিল স্লো আর বল নীচু হয়ে যাচ্ছিল। স্ট্রোক নিয়ে খেলা ছিল দুষ্কর।
গুরবাজের ক্যাচ তোলেন তৃতীয় ওভারে লং অফে। কিন্তু তা তালুবন্দী করেও ফিল্ডারের পা ছুঁয়ে ফেলে বাউন্ডারি লাইনকে। সে যাত্রায় বাঁচেন। তখন তাঁর রান ছিল মাত্র ৯। এরপর তান্ডব শুরু করেন। ২২ বলে ৫০ করে নেন।
কিন্তু ডেথ ওভারের ৫ ওভারে ৩৭ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলাটা দলের ব্যর্থতা।
ছবি: সৌ টুইটার।