চলে গেলেন আশি-নব্বই দশকের দুর্দান্ত উইঙ্গার বাবু মানি। বেশ কয়েক মাস লিভারের অসুখে ভোগার পর শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। বয়স হয়েছিল ৬১। বেঙ্গালুরুর ছেলে বাবু মানি ১৯৮৩ সালে কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন। প্রথম ক্লাব ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সে্ই থেকে তিনি ছিলেন এই শহরের বাসিন্দা। রেখে গেলেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যাকে।
১৯৮৩ সালে মানি এসেছিলেন মহমেডানে। রাইট উইঙ্গার ছিলেন। দুর্দান্ত গতি ছিল তাঁর। উইং ধরে প্রচণ্ড জোরে ছুটতেন। তার সঙ্গে ছিল দুর্দান্ত ড্রিবলিং। এবং কাট করে ভেতরে ঢুকে গোল করা। ১৯৮৪ সালে তাঁকে মোহনবাগান নিয়ে যায়। সবুজ মেরুনে ছিলেন ১৯৮৮ পর্যন্ত। ১৯৮৭ সালে তিনি ছিলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক। ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। মানি ছিলেন সেই দলের সদস্য। সেখান থেকে পরের বছর চলে যান মহমেডানে। ১৯৯০ সালে যোগ দেন ইস্ট বেঙ্গলে। দু বছর সেই ক্লাবে খেলে ১৯৯২ সালে আবার ফেরেন মোহনবাগানে। ১৯৯৩ সালে খেলেন এফ সি আই-এর হয়ে। এখানেই চাকরি করতেন মানি। পরের বছর মোহনবাগানে খেলে তিনি ফুটবল জীবন শেষ করেন।
দেশের হয়ে মানি খেলেন ১৯৮৪ সালের এশিয়ান কাপে। পরের বছর সাফ গেমসে ঢাকায় চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মানি ছিলেন সেই দলের সদস্য। ১৯৮৭ সালেও সাফ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মানি ছিলেন সেই দলেও। ১৯৯০ সালে ইস্ট বেঙ্গল ত্রিমুকুট জেতে। মানি ছিলেন সেই দলের সদস্য। সব মিলিয়ে আশির দশকের শ্রেষ্ঠ উইঙ্গার বলা আয় তাঁকে। এই বছরেই কলকাতা হারিয়েছে সত্তর দশকের দুই সেরা উইঙ্গারকে। সুভাষ ভৌমিক ও সুরজিৎ সেনগুপ্তের পর চলে গেলেন বাবু মানিও। ভদ্র, নম্র, সব সময় মুখে হাসি, কম কথা বলা মানি চলে গেলেন বড্ড কম বয়সে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে।