কলকাতা: প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিএড (B.ED) উত্তীর্ণদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Ganguly)। সোমবার তাঁর অন্তর্বর্তী নির্দেশ, ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে যে সব চাকরিপ্রার্থীর বিএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়েছে তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তাঁদের জন্য নিজেদের পোর্টাল কিছু দিন খোলা রাখবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া ওই প্রার্থীদের ফলপ্রকাশ করা যাবে না। যাঁরা আগে আবেদন করেছিলেন তাঁরাই এই সুযোগ পাবে। নতুন করে আবেদন করা যাবে না। আগামী ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত বছর প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানায় পর্ষদ। ২৯ সেপ্টেম্বর তারা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে জানানো হয়, ডিএলএড প্রশিক্ষণরতরাও অংশ নিতে পারবেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। পরে এই পর্ষদের এই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরতরা নন, যাঁরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন একমাত্র তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Samyukta Kishan Morcha | বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিয়ে ফের পথে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পেতে মৃন্ময় সরকার-সহ ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ডিএলএড প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কুলের জন্য। কিন্তু অনেকে বিএড সম্পূর্ণ করে আবার ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। ফলে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তাঁরা ডিএলএড যোগ্যতায় আবেদন করেন। তখন যদি বলা হত, প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক তবে এই চাকরিপ্রার্থীরা বিএড দেখিয়ে আবেদন করতে পারতেন। পর্ষদের এই ত্রুটির কারণে অনেক প্রার্থী বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিজ্ঞপ্তিতে বিএড এবং ডিএলএড উভয় প্রার্থীকেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের ফলে প্রশিক্ষণরতরা সুযোগ হারিয়েছেন। এখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাঝপথে ডিগ্রি পরিবর্তন খুবই জটিল প্রক্রিয়া। প্রচুর চাকরিপ্রার্থী আবার ভিড় করতে পারেন। এই মুহূর্তে এটা খুবই অসুবিধার।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, বিএড প্রশিক্ষণ থাকলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। ফলে এখন এই প্রার্থীদের যোগ্য বলে ধরে নিতে হবে। আপাতত তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন। ১৫ দিনের জন্য পর্ষদ নিজেদের ওয়েবসাইট খোলা রাখবে। সেখানে গিয়ে যোগ্যতার এই মান পরিবর্তন করতে পারবেন বিএড প্রার্থীরা।