কলকাতা: গরমে (Summer) নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে (India)। মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। পাশাপশি শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়ও (Pond)। বিগত কয়েকদিন ধরে একটানা চলা তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে তীব্র জলকষ্ট। পানীয় জলের সংকটে ক্ষোভ, বিক্ষোভ, অবরোধও চলছে জেলায় জেলায়। তবে এর মধ্যেই সামনে এসেছে জলাশয় সুমারির একটি রিপোর্ট। জলশক্তি মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলাশয় সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে, ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে সর্বাধিক জলাশয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে জলাশয় রয়েছে ৭,৪৭,৪৮০টি। এর পরই রয়েছে উত্তর প্রদেশ (২,৪৫,০৮৭), অন্ধ্র প্রদেশ (১,৯০,৭৭৭), ওড়িশা (১,৮১,৮৩৭), অসম (১,৭২,৪৯২), ঝাড়খণ্ড (১,০৭,৫৯৮) ও তামিলনাড়ু (১,০৬,৯৫৭)। সবচেয়ে কম জলাশয় রয়েছে সিকিমে, মাত্র ১৩৪টি।
আরও পড়ুন:Irrfan Khan | তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আগে আসছে বড় পর্দায় ইরফানের ‘দ্য সং অফ স্কর্পিয়নস’
এই জলাশয় সুমারির লক্ষ্য দেশের সমস্ত জলাশয়ের আকার, অবস্থা, দখল বা বুজিয়ে ফেলা, সঞ্চয় ক্ষমতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির তথ্য সংগ্রহ করে একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরি করা। শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলই এই সুমারির আওতায় ছিল। একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে জলাশয়ের ছবিসহ অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী আরও দেখা গিয়েছে, মোট জলাশয়ের ৮৩.৭ শতাংশ মাছ চাষ, সেচের কাজ, গার্হস্থ্য প্রয়োজনে ও পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকি ১৬.৩ শতাংশ জলাশয় বিভিন্ন কারণে অব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া, পুকুর বা জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণ কাজ, পলি, লবণাক্ততা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, শুধুমাত্র গ্রামীণ বা শহর এলাকাই নয়, মোট জলাশয়ের ৯.৬ শতাংশ জলাশয় উপজাতীয় এলাকায়, ৮.৮ শতাংশ বন্যাপ্রবণ এলাকায়, ৭.২ শতাংশ “খরা প্রবণ এলাকা কর্মসূচির” অধীনে এবং ২ শতাংশ নকশাল-প্রবণ এলাকায় অবস্থিত।