কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)’ভারত জোড়ো’ যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) শুরু হল বৃহস্পতিবার সকালে। কন্যাকুমারীর ভারতযাত্রী শিবিরে এদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেন কংগ্রেস (Congress) নেতা। কন্যাকুমারী এই পদযাত্রা শুরু হয়ে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির গোড়ায় কাশ্মীরে শেষ হবে। রাহুলের সঙ্গে এদিন পদযাত্রার সূচনায় ছিলেন ছত্তিশগড়ের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel) এবং রাজ্যসভা সদস্য কেসি বেণুগোপাল (K C Benugopal)।
লোকসভা ভোটকে (Parliament Election 2024 ) পাখির চোখ করে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় বুধবার। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর (Kanyakumari to Kashmir) পর্যন্ত কংগ্রেসের সর্ববৃহৎ এই পদযাত্রার উদ্বোধন বুধবার বিকেল ৫টায় শুরু হয়। কংগ্রেস সভানেত্রী (Congress President) সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে না-পারায় শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। সাড়ে ৩ হাজার কিমির এই পদযাত্রা ১৫০ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে কাশ্মীরে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: বিধায়ক তহবিলের টাকা ব্যবহার করা যাবে বাড়ি তৈরিতেও, সিদ্ধান্ত মমতার
বুধবার সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামপুদুরে প্রয়াত রাজীব গান্ধীর (Rajib Gandhi) শহীদবেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এখানেই ১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীলঙ্কার এলটিটিইর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছিলেন রাহুলের বাবা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। বাবার শহীদস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাহুল টুইট করে বলেন, ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির বলি হয়েছিলেন আমার বাবা। বাবাকে হারালেও আমি আমার ভালোবাসার দেশকে হারাতে চাই না। ভালোবাসাই ঘৃণাকে জয় করতে পারে। আশা করি ভয়কে জয় করে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই জয় পাব।
বিজেপির (BJP) শাসনে সামাজিক মেরুকরণ ও একচেটিয়া রাজনৈতিক আধিপত্য চলছে। এর আগে রাহুল এই পদযাত্রাকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে তাঁর তপস্যা বলে বর্ণনা করেছিলেন। বুধবার বিকেলেই রাহুল কন্যাকুমারীর মহাত্মা গান্ধী মণ্ডপমে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাঁর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিতেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক যাত্রার। প্রতীকী হিসেবে একটি ব়্যালি হলেও প্রকৃত পদযাত্রা শুরু হয় আজ, বৃহস্পতিবার সকালে। এই মিছিল ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিয়ে ৩৫০০ কিমি পথ পেরবে ১৫০ দিনে।