কলকাতা: একদিকে স্পিকারের (Speaker) বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব। অন্যদিকে স্পিকারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রতি শাসকদলের আস্থা প্রস্তাব। এই দুই নিয়ে সরগরম পরিষদীয় রাজনীতি। বিধানসভার পরবর্তী কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আদৌ বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে কি না।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) বিরুদ্ধে (Assembly Speaker) ইতিমধ্যেই অনাস্থা এনে প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। আগামী ৬ মার্চ বিধানসভার বিএ কমিটিতে (BA Committee) এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বিধানসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিবেশন শুরু হচ্ছে ওই দিন থেকেই। আপাতত ১৩ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন চলবে বলে শুক্রবার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার শাসক (Ruling Party) তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে।তাতে বলা হয়েছে, শাসকদলের সমস্ত বিধায়ক তথা পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে স্পিকারের প্রতি আস্থা জানানো হচ্ছে। স্পিকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে এভাবে প্রস্তাব আনার বিষয়টি একপ্রকার নজিরবিহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ওই প্রস্তাবে বিজেপির আনা স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Delhi Incident: ছেলের গালে সিগারেটের ছ্যাঁকা, স্বামীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের
বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির অভিযোগ, স্পিকার শাসকদলের মুখের দিকে তাকিয়ে বিধানসভায় নানা রুলিং দেন। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, বিধানসভাতে স্পিকার কী করবেন, কী বলবেন, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। বিধানসভা যে বিরোধীদেরই, স্পিকারের ভূমিকা দেখে তা বোঝা যায় না। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই বিজেপি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। বিজেপির পরিষদীয় দলের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত হয়ত সরকারের নির্দেশেই বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপি বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অধিকাংশ সময়ই বয়কট করেছে। একইসঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী দলছুট বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত স্পিকার কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ। বিজেপির পরিষদীয় দলের আরও অভিযোগ, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদকে ঘিরেও স্পিকারের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়েছে।