ভোপাল: বেআইনিভাবে জমি দখল করে বসবাসের অভিযোগে এক বিজেপি নেত্রীর বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রতলামে। অভিযোগ রয়েছে, বিজেপি নেত্রী রাধা চৌহান যে বাড়িটিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন, সেটি বেআইনিভাবে দখলের, তাও আবার সরকারি জমিত। বাড়িটি বেশ কয়েক দশকের পুরনো। গত শুক্রবার থেকে গোটা পরিবার ৮৫ বছরের বৃদ্ধ পিতা সহ পরিবারের ষাটোর্ধ্ব সদস্যা এবং বাচ্চাদের নিয়ে ওই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের কাছে ঠাঁই নিয়েছে। তাঁদের যাওয়ার জন্য জায়গা নেই। বিজেপি’র রতলাম মহিলা মোর্চার ৩৬ বছর বয়সি মহামন্ত্রী (Mahamantri of BJP’s Ratlam Mahila Morcha) রাধা চৌহান (Radha Chouhan) জানিয়েছেন, “প্রশাসন মাত্র একঘণ্টার সময় দেয় সব জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। এমনকি সরকারি অনুদানে তৈরি ৮টি টয়লেটও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ”
বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য, “২০২০ সালে তাঁরা একটি নোটিস পেয়েছিলেন এবং তার জবাবও দিয়েছিলাম আমরা”। এরপর তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ২ বছর পর শুক্রবার আচমকাই বুলডোজার নিয়ে হাজির হয়ে তাঁদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এভাবে ঘরছাড়া হওয়ার পর তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া আটকানোর জন্য আমি জেলাশাসক, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার, বিজেপি বিধায়ক এবং মেয়রকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু সকলেই ফোন বন্ধ করে বসেছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, “বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহায়ক আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মাঝামাঝি বিজেপি নেত্রীর বাবার নামে নোটিস পাঠিয়েছিল রতলাম মিউনিসিপ্যাল অফিস। নোটিসে বলা হয়েছিল, সরকারি জমির উপর তৈরি বাড়িটি দখলের (Home is an encroachment on Govt land)। বাড়িটি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করুন। এই বিষয়ে রতলাম জেলা প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। রতলান মিউনিসিপ্যাল কমিশনার হিমাংশু ভাটকে (Ratlam Municipal Commissioner Himanshu Bhatt) এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি সরাসরি বলে দেন এসডিএম সঞ্জীব পাণ্ডের (SDM Sanjeev Pandey) সঙ্গে কথা বলতে। তিনিও আবার এই নিয়ে কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি। যোগাযোগ করা যায়নি কালেক্টরের নরেন্দ্র কুমারের (Collector Narendra Kumar) সঙ্গেও।
রতলাম জেলার পিআরও (Ratlam Dist PRO) স্পষ্ট বলেছেন, রতলাম সোনা এবং রুপোর জন্য পরিচিত, ২.৪৯ হেক্টর আয়তনের গোল্ড পার্ক মার্কেট তৈরির জন্য সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। বাড়ি ভাঙার কাজটি আইনি মোতাবেকই করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, তাঁকে বাড়ি ভাঙার আগে নোটিস দেওয়া হয়নি।