রিয়াধ: লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সম্ভবত শেষতম সম্মুখ দ্বৈরথ হয়ে গেল সৌদি আরবের (Saudi Arabia) রিয়াধের (Riyadh) মাঠে। রিয়াধ অল-স্টার ১১ অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রোনাল্ডো। মেসি ছিলেন পিএসজির (PSG)হয়ে। এই ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখতে গাদাগাদা পয়সা খরচ করতে হয়েছে দর্শকদের। সেই পয়সা কিন্তু সুদেআসলে উসুল। কী ছিল না ম্যাচে। রাশি রাশি গোল, লাল কার্ড, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সবচেয়ে বড় কথা, দুই মহাতারকাই গোল করেছেন। শেষ পর্যন্ত পিএসজি জিতেছে ৫-৪ গোলে।
খেলা শুরুর তিন মিনিটেই গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। নেইমারের (Neymar) পাস থেকে গোল পান মেসি। ৩২ মিনিটে রিয়াধের হয়ে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান পর্তুগিজ মহাতারকা। পেনাল্টি আদায় করেন তিনিই। এরপর ৩৯ মিনিটের মাথায় ১০ জনে হয়ে যায় পিএসজি। কড়া ট্যাকলের জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। সংখ্যায় কমে গেলেও ফের এগিয়ে যায় পিএসজিই। ৪৩ মিনিটে গোল পান মারকুইনহোস। তার পরে আবার পেনাল্টি পান মেসিরা। কিন্তু সেটা মিস করেন নেইমার। বরং রিয়াধ অল-স্টারের হয়ে আবার গোল করেন সি আর সেভেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-২ অবস্থায়।
আরও পড়ুন: ওয়েলশকে হারাল ভারত, তবু শেষ আটে যেতে খেলতে হবে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে
৫৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় পিএসজি। বাঁ দিক দিয়ে পায়ের কাজ দেখিয়ে বক্সের অনেকটা ভিতরে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। তাঁর নিখুঁত পাসে পা ছুঁয়ে গোল করেন সার্জিও রামোস। আবারও সমতা ফেরায় রিয়াধ অল-স্টার। হেডে গোল করেন জাং ইয়ুন সু। ফলাফল ৩-৩। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পিএসজির হয়ে ৪-৩ করেন এমবাপে। এর দু’ মিনিট পরে ম্যাচের সমস্ত জৌলুস শেষ হয়ে যায়। কারণ ৬১ মিনিটে রোনাল্ডোকে তুলে নেওয়া হয়। পরের মিনিটে মাঠ ছাড়েন মেসি, নেইমার, এমবাপে।
প্যারিসের নতুন প্রতিভা একিতিকে দলকে ৫-৩ এগিয়ে দেন। পিএসজি ম্যাচের বেশিরভাগ সময়টা ১০ জনে খেললেও বিরাট অসুবিধেয় পারতে হয়নি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে রিয়াধে হয়ে চার নম্বর গোল করে স্কোরলাইন আরও আকর্ষক করে তোলেন টালিস্কা।