কলকাতা: আদালতের নির্দেশ ছিল। তারপরেও চাকরি চাইতে গিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে হেনস্তার শিকার হতে হয় অঞ্জন খাটুয়া নামে এক চাকরিপ্রার্থীকে। পর্ষদের এক অফিসার তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনই অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীকে হেনস্তার অভিযোগকেই মান্যতা দিল আদালত। সেইমতো আগামী দিনে আদালত পদক্ষেপ করবে। আদালতের নির্দেশ শুক্রবারের মধ্যে ওই প্রার্থী বোর্ড থেকে নিয়োগপত্র গ্রহণ করবেন। ১৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে আদালত অবমাননার রুল জারি করে তলব করা হয়। রামানুজ আদালতে হাজির না হলেও তাঁর প্রতিনিধি ওই প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত প্রাথমিক নথি আদালতে জমা দেন। যা দেখে আদালতের স্পষ্ট অভিমত, তাঁকে এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁকে কোনও খারাপ কথা বলা হয়নি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে। অঞ্জনের অভিযোগ, পর্ষদের এক অফিসার তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। ওই অফিসার তাঁকে বলেন, আপনারা কী মনে করেন? যখন তখন নিয়োগপত্র দেওয়া যায় নাকি? অঞ্জনকে বলা হয়, আপনারা মেদিনীপুর থেকে আসেন মামলা করতে। আপনাদের প্রচুর টাকা আছে।
আরও পড়ুন: HC Fines Jail Super: বিকাশ কেন হাসপাতালে, প্রেসিডেন্সির সুপারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদালতের
ওই চাকরি প্রার্থীর আরও অভিযোগ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওই অফিসার তাঁকে আরও বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেই তা পালন করতে হবে? আপনি চোখে দেখেন না। তাও চাকরি করতে চলে এসেছেন। আপনি পড়াবেন কী ভাবে? এরপরেই অঞ্জন আদালতে গেলে হাইকোর্ট অবমাননার রুল জারি করে। সেই মামলাতেই এদিনই পর্ষদ সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা ঠিক কী ভুল আমরা জানি। ওখানে কি হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট।