কলকাতা: আদালতের ভর্ৎসনার পর এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) প্রথমবার গোপন জবানবন্দী রেকর্ড করা হল। সূত্রের খবর, নাইসা-র এক আধিকারিক পঙ্কজ বনশলের গোপন জবানবন্দি করানো হয়েছে আদালতে। বুধবার আদালতে ওই ব্যক্তির গোপন জবানবন্দি করানোর জন্য আবেদন করে সিবিআই (CBI)। আদালত মঞ্জুর করলে নাইসার ওই আধিকারিকের গোপন জবানবন্দি হয়। কোন সিন্ডিকেটে কারা, কারা কাদের কাছে নির্দেশ পাঠাত, তা বিস্তারিত জানতেই জবানবন্দী রেকর্ড (Records Secret Deposition) করা হয়।
নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের ধীর গতিপ্রকৃতি নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সিবিআইয়ের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকও। বললেন, দুটিটি মামলা ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির অন্য মামলা- অল আর হোপলেস! কোথায় কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই? আমি কিছু বলব না, যা করার কলম দিয়ে করব।
সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, নীলাদ্রি ঘোষকে কবে গ্রেফতার করেছেন? এরপর তদন্তে অগ্রগতি কী হয়েছে? নীলাদ্রি-কুন্তল-তাপস কাকে টাকা দিতেন, সেই সব তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসে নি! যাকে টাকা দেওয়া হয়েছে, সে হেফাজতে নেই কেন? সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যাঁর নাম আছে, তিনি অন্য কেসে অ্যারেস্ট হয়ে আছেন। বিচারক বলেন, গ্রুপ সি ও নবম-দশম ছাড়া অন্য মামলা ঠিকমতো চলছে না। গ্রেফতারির ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে হয়। তাপস, নীলাদ্রি, কুন্তলের মামলার চার্জশিট পেশ করতে আর মাত্র দিন কয়েক বাকি। আপনারা এর মধ্যেই কিছু করে দেখান ক্ষোভের সুরে বলেন বিচারক।
বিচারক বলেন, আমি হতবাক তদন্তের অগ্রগতি দেখে। এর আগেও প্রতারিত ব্যক্তিরা গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থা সেই ব্যবস্থা করেনি। বিচারক সিবিআইয়ের কেস ডায়েরিও দেখেন। তদন্তকারী অফিসারকে তিনি বলেন, গতি বাড়ান। কড়া পর্যবেক্ষণে শনিবার বিচারক বলেন, যাঁরা প্রতারিত তাঁদের গোপন জবানবন্দি নিতে বলা হয়েছিল। সেই সময় সিবিআই আধিকারিকদের কাছে কোবও উত্তর ছিল। এর পরই এদিন নাইসার আধিকারিকের গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়।
উল্লেখ, শনিবার, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের ১২ মে অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।