নয়াদিল্লি: হাতাহাতি, মারামারি, ঘুসোঘুসি, ব্যালট বাক্স ছোড়াছুড়ির মধ্য দিয়ে বুধবারের রাত কাটল দিল্লি পুরসভায় (MCD)। মেয়র (Mayor) ও ডেপুটি মেয়র (Dy Mayor) নির্বাচনের পর বুধবার বিকেলে ৬ সদস্যের স্ট্যান্ডিং কমিটি (Standing Comitee Election) নির্বাচনকে ঘিরে ফের পুরনো চেহারায় ফিরল অধিবেশন কক্ষ। গোপন ব্যালটে (Secret Ballot) ভোটাভুটির সময় আপ (AAP) কাউন্সিলররা মোবাইলে ছবি তুলছেন। এই অভিযোগে বিজেপি (BJP) সদস্যদের সঙ্গে আপের প্রথমে ধস্তাধস্তি থেকে মারামারি শুরু হয়। প্রায় মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওয়েলে নেমে দুপক্ষের গন্ডগোল চলতে থাকে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্বাচিত আপের মেয়র শেলি ওবেরয় (Mayor Shelly Oberoi) স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন ছাড়াই সভা মুলতুবি ঘোষণা করে দেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় ফের সভা বসবে।
আরও পড়ুন: Adeno Virus: অ্যাডিনোভাইরাসে ফের মৃত্যু রাজ্যে, প্রাণ গেল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত কিশোরীর
মেয়র শেলি ওবেরয় বলেন, স্ট্যান্ডিং কমিটির ভোটেও হারবে জেনে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। পুরসভার যে ছবি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, আপ-বিজেপির কাউন্সিলররা চিৎকার-চেঁচামেচি, স্লোগান দিচ্ছেন। পরস্পরের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি চলছে। উড়ে আসছে ব্যালট বাক্স, জলের বোতল। এই ঘটনার জেরে অন্তত ৮ বার সভা মুলতুবি করতে হয়। যতবারই ফের সভা শুরু হয়েছে, ততবারই নতুন করে ঝামেলা বাধে। গভীর রাতের দিকে কোনও কোনও সদস্যকে এর মধ্যেই পিছনের দিকে বসে ঘুমোতেও দেখা গিয়েছে।
মেয়র শেলি ওবেরয় এক টুইটে বলেছেন, বিজেপি কাউন্সিলররা আমাকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল। এটা বিজেপির গুন্ডাগিরির আর একটি নমুনা। ওরা মহিলা মেয়রকেও আক্রমণ করতে রেয়াত করে না। এর জবাবে বিজেপির শিখা রাই বলেন, আমরা মেয়রের সঙ্গেই কথা বলতে গিয়েছিলাম। যাতে উনি আমাদের কথা শোনেন। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধান চাইতে গিয়েছিলাম।
BJP Councillors just tried to attack me while I was conducting the Standing Committee elections, as per Supreme Court orders! This is the extent of BJP’s Gundagardi that they are trying to attack a woman Mayor.
— Dr. Shelly Oberoi (@OberoiShelly) February 22, 2023
প্রসঙ্গত, ৬ সদস্যের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আপ অনায়াসেই ৩টিতে জিতে যাবে, বিজেপির হাতে আসবে ২টি। ষষ্ঠ আসনটি নিয়েই লড়াই চলছে দুপক্ষে। এটি বিজেপির হাতে এলে গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে তারাও নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকবে। গত ১৫ বছর পুর এলাকা শাসন করা বিজেপি এটা হাতছাড়া করতে চাইছে না।