মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যায় বউবাজারের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতার মেয়র, পুলিশ কমিশনার প্রমুখ। সঙ্গে ছিলেন রেল এবং কেএমসিআরএলের প্রতিনিধিরাও। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। বাসিন্দারা জানতে চান, আর কতদিন তাঁদের দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে।
এর আগে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কেএমসিআরএলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন বারবার কাজ করতে গিয়ে এই ধরনের বিপর্যয় হচ্ছে। তিনি বলেন, যে ভাবেই হোক, এর একটা সমাধানের পথ খুঁজে বার করতে হবে। সূত্রের খবর, মেয়র কেএমসিআরএলের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সকলে মিলে বউবাজারের মদন দত্ত লেনে যান। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে লোকসভায় মমতা দাঁড়ান, হারিয়ে ছাড়ব, চ্যালেঞ্জ অধীরের
এদিন সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ কমেনি। শুক্রবার ভোরে সুড়ঙ্গে জল ঢুকে যায়। সেই জলের চাপে মদন দত্ত লেনের অনেক বাড়িতে ফাটল ধরে। বালি, মাটির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করলেও তা আটকানো যায়নি। কেএমসিআরএল কর্তারা জানান, দশটি বাড়ি খালি করা হয়েছে। আরও ৩৫ টি বাড়ি খালি করতে হবে। শুক্রবারই ১৩৬ জনকে বিভিন্ন হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। মোট ৪০০ জনকে সরাতে হবে বলে কেএমসিআরএল জানিয়েছে।