আমরা যখন দু’ জন তিন জন পাশাপাশি হাঁটি তখন পা ফেলি একই ছন্দে। এক নতুন গবেষণা বলছে, শিম্পাঞ্জিরাও ঠিক একই কাজ করে। এবং এই কাজ তারা অসচেতন ভাবেই করে থাকে। সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিয়েনার সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান এজেন্সি গবেষণা করে এই তথ্য দিয়েছে।
এই গবেষণার প্রধান ডঃ ম্যানন সোয়েনফার্থ জানিয়েছেন, জাম্বিয়ার এক অভয়ারণ্য চিমফুনসি ওয়াইল্ডলাইফ অরফ্যানেজ ট্রাস্টের শিম্পাজিদের আচরণ নিয়ে বিবিধ গবেষণা করা হয়েছিল। বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে একা এবং একসঙ্গে হাঁটানো হয় তাদের। গবেষকরা লক্ষ করেন, একসঙ্গে হাঁটার সময় একই ছন্দে পাশাপাশি পা ফেলছে তারা। মানুষেরই মতো একেবারে অনিচ্ছাকৃতই এই কাণ্ড করছে শিম্পাঞ্জিরা।
আরও পড়ুন: Cough Syrups: কাফ সিরাপে শিশুমৃত্যু, কী বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী
মানুষের পূর্বপুরুষ হিসেবে সবথেকে কাছাকাছি প্রজাতি গণ্য হয় শিম্পাজিকে। হাঁটার ক্ষেত্রে এই সাযুজ্য বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তুলল। ডঃ সোয়েইনফার্থ বলেন, খেলা, গ্রুপে নাচ, মিলিটারি অ্যাকশনের সময় মানুষ পরিকল্পনা করে একই ছন্দে কাজ করে। তবে দৈনন্দিন জীবনেও একসঙ্গে জিনিসপত্র বওয়া কিংবা শিশুদের জামাকাপড় পরানোর কাজও করা হয়। প্রজাতি (species) হিসেবে মানুষের সেরা হয়ে ওঠার কারণ একসঙ্গে কাজ করা, কারণ একা যা অর্জন করা যায় মিলেমিশে তার থেকে অনেক বেশি করা যায়। এমনকী যখন প্রয়োজন নয় তখনও আমরা একই ছন্দে কাজ করি। যেমন পাশাপাশি হাঁটলে আপনা থেকেই একই ছন্দে পা ফেলি আমরা।
শিম্পাঞ্জিরা জটিল ধরনের সমষ্টিগত কাজে ছন্দ মেলাতে পারে না কিন্তু সহজতর ক্ষেত্রে কতটা সক্ষম তা খুব একটা জানা ছিল না। এবার গবেষণায় জানা গেল, হাঁটার ক্ষেত্রে আপনা থেকেই ছন্দ মিলে যায় শিম্পাঞ্জিদের।