নয়াদিল্লি: আগস্ট মাসে আমেরিকার (US) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন সেখানে সামরিক মহড়া (Drill) শুরু করেছিল। ফের তাইোয়ান সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আকস্মিকভাবে চীন তাইওয়ানে (Taiwan) ৭১টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে। ৭টি যুদ্ধ জাহাজও পৌঁছে গিয়েছে তাইওয়ানের জল সীমানায়। তার মধ্যে ৪৭টি বিমান দুই দেশের সীমান্ত পার করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সোমবার এই খবর জানিয়েছে।
তাইওয়ান জানিয়েছে, এই চীনা (China) আগ্রাসনে তাইওয়ানও নজরদারি বাড়িয়েছে। তাদের ভূমি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা, নিজস্ব নৌ বাহিনী (Navy) দিয়ে এর মোকাবিলা করা হবে। সম্প্রতি আমেরিকা-তাইওয়ানের (US-Taiwan) গা ঘেঁষাঘেঁষিকে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে চীন। সেজন্য তাদের এই পদক্ষেপ। বিশেষ করে আমেরিকার প্রতিরক্ষা (Defense) সংক্রান্ত বিলে তাইওয়ানের পক্ষ নেওয়ায় এই বার্তা বলে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে।
আরও পড়ুন: Ballistic Missile: ১২০টি প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের
যেসব যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানে (Taiwan) পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে আছে ১৮ জে ৬ যুদ্ধ বিমান, ১১ জে ১ যুদ্ধ বিমান, ৬ সু-৩০ ফাইটার ও ড্রোন। তাইওয়ানের উপর চীনের হেনস্থা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতিকালে মাঝে মাঝেই এভাবে যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ তাইওয়ানের দিকে পাঠাচ্ছে তারা।
চীনের পিপলস নিবারেশন আর্মির (China Peoples liberation Army) পূর্বাঞ্চলের থিয়েটার কমান্ড শি ই বলেন, এটা আমেরিকা ও তাইওয়ানের সাম্প্রতিক প্ররোচনার জবাব। তাইওয়ানের জল সীমানাতেও মহড়া দেওয়া শুরু করেছে তারা। রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে চীন আর্মি। চীনের সেনা কর্তা উল্লেখ করেন, আমেরিকার ডিফেন্স স্পেন্ডিং বিলের কথা। চীনকে সেখানে বিপদ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বলা হয়ে,ছে এখানে প্রয়োজনে ভারতরে সঙ্গে সমঝোতা বাড়াতে হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যেসব প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে সেগুলি নিয়ে সমন্বয় বাড়াতে হবে।