আলিপুরদুয়ার: স্কুল পড়ুয়ার (School Student) কীর্তি!তীব্র গরম (Hot Weather) থেকে বাঁচতে নিজের স্কুল যাতায়াতের সাইকেলে (Cycle) ডায়নামো চালিত পাখা (Fan) তৈরি করে তাক লাগাল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র (Class Four Student) প্রিয়াংশু সরকার (Priyangsu Sarkar)। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জটেশ্বরের তিন নম্বর অতিরিক্ত প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র প্রিয়াংশুর (Priyangshu) কীর্তিতে চারিদিকে প্রশংসার বন্যা। ছোটো থেকেই কারিগরি বিদ্যার প্রতি প্রচুর ঝোঁক ওই খুদে পড়ুয়ার। ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় নিজের মাথা খাটিয়েই একটি রিমোট চালিত খেলনা গাড়ি তৈরি করে ফেলেছিল প্রিয়াংশু। বাবা টিভি মেকানিক, মা গৃহবধু আর দিদি আইআইটির ছাত্রী। এবারের কর্মশিক্ষা পরীক্ষায় ওই ফ্যান লাগানো অভিনব সাইকেল প্রিয়াংশু জমা করেছিল স্কুলে।
কীভাবে এই ভাবনা এল তার মাথায়? একদিন মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে বেরিয়ে একটি সাইকেল সারাইয়ের দোকানে ডায়নামোর মাধ্যমে আলো জ্বলতে লক্ষ্য করেছিল সে। তখনই তার মাথায় বুদ্ধি খেলে যায় যে, সাইকেলের ডায়নামোতে যদি আলো জ্বলতে পারে, তবে পাখা কেন ঘুরবে না? ব্যাস তখন থেকেই ডায়নামোর খোঁজে বায়না জুড়ে দেয় বাবার কাছে। বাবাও ছেলেকে উৎসাহ দিতে জুটিয়ে দেন একটি সাইকেলের ডায়নামো। তারপরেই সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় প্রিয়াংশু তৈরি করে ফেলে নিজের পছন্দের সাইকেলের জন্য ডায়নামো চালিত ফ্যান। স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রখর রোদ থেকে ওই মেধাবী পড়ুয়াকে খানিকটা হলেও স্বস্তি যোগায় ওই পাখা। তার ওই উদ্ভাবনী শক্তির কথা পৌঁছে যায় আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মণের (Paritosh Barman) কাছে। ছুটির দিন হলেও তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে ছুটে আসেন ওই খুদে পড়ুয়ার কারিগরি দেখতে। তাকে ফুলের তোড়া ও মিষ্টিমুখে তারিফ করেন পরিতোষবাবু। গ্রামীণ এলাকার একটি স্কুল ছাত্রের কারিগরি কৌশল চাক্ষুষ করে মুগ্ধ হন তিনি। ভবিষ্যতে প্রিয়াংশু যাতে আরও উন্নতি করতে পারে সেই কারনে তাকে উৎসাহিত করেন চেয়ারম্যান। ছাত্রের ওই নতুন উদ্ভাবনী শক্তি লক্ষ্য করে আপ্লুত স্কুলের দিদিমনি মাষ্টার মশাইরাও।
আরও পড়ুন: Bihar।| বিহারে ফের বিষাক্ত মদে মৃত ৮, দৃষ্টিশক্তি হারাল ৬ জন
প্রিয়াংশু এখন সেলিব্রিটি। তার ওই আবিষ্কারের কথা ছড়িয়ে পড়তেই তার বাড়ির সামনে ভিড়। তার উদ্ভাবনকে একবার চাক্ষুষ করতে চায় অনেকেই। তার সঙ্গেও দেখা করতে চাইছেন অনেকে। নিজের মুখেই সেসবের বর্ণনা দিচ্ছে ছোট্ট প্রিয়াংশু। তা লোকমুখে আরও ছড়িয়ে পড়ছে।