কলকাতা: পার্ক স্ট্রিটের বহুতলের পরে এবার কসবার (Kasba) এক হাসপাতালে লিফট ছিঁড়ে গেল। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও তাতে দুজন জখম হলেন। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে লিফট (Lift) ছিঁড়ে এই বিপত্তি। আহত হলেন চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে একটি নার্সিংহোমে (Nursing Home)। আহতদের রুবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন চিকিৎসক অনির্বাণ মিত্র ও তাঁর স্ত্রী চৈতালী মিত্র। এদিন দুপুর একটা নাগাদ লিফটে করে দুজন উপরে উঠছিলেন। সেই সময় লিফট ছিঁড়ে নীচে নেমে আসে। ঘটনায় দুজনেই আহত হয়েছেন। তারপর সেখানে নার্সিং হোমের অন্যান্যরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের শুশ্রুষা চলছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে পার্ক স্ট্রিটে (Park street) বহুতলে আচমকা লিফট (Lift) ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। লিফটের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পার্ক স্ট্রিটের ওম টাওয়ারের লিফটের রক্ষনাবেক্ষণের কাজ চলছিল। ওই সময় আচমকা লিফট ছিঁড়ে পড়ায় তাতে আটকে পড়েন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক পেশায় ছিলেন সিফট অপারেটর। নাম আব্দুল রহিম। একবালপুর এলাকার বাসিন্দা ছিল রহিম। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সে ওই বহুতলে কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Cyclone Mocha | ‘মোকা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বুধবার সকালে ওম টাওয়ারের (Om Tower) লিফটের মেরামতির কাজ চলছিল, সেই সময় আচমকাই লিফ্টটি তিন নম্বরের উঠে যায়। লিফ্ট হঠাৎ কেন উপরে উঠে গেল তা উঁকি মেরে দেখতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। লিফট ছিঁড়ে মাথার ওপর এসে পড়ে যুবকের। তাতেই চাপা পড়ে যান ওই যুবক। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ওম টাওয়ারে চারটি লিফ্ট রয়েছে। তিন নম্বর লিফ্টটি ছিঁড়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হেস্টিংস থানার পুলিশ। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা লিফট সরিয়ে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারকার্যে হাত লাগায় দমকলও। লিফটের একেবারে নীচে আটকে ছিল দেহ। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ওই দুর্ঘটনার পর অভিযোগের তির উঠেছিল বহুতলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বহুতলের কর্মচারীদের অভিযোগ, বহুদিন ধরে লিফটের নানা সমস্যা চলছিল। এমনকি মাঝে মাঝে মাঝপথে আটকেও যেত লিফট। বারবার অভিযোগ জানানোর পরও অভিযোগ করার পরও সঠিক ভাবে মেরামতির করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জেরেই লিফ্ট ছিঁড়ে বেঘরো প্রাণ হারালেন লিফট অপারেটর।