বহরমপুর: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় বাম (CPIM), কংগ্রেস (Congress), বিজেপির (BJP) সহযোগিতায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করল তৃণমূল (TMC)। এই ঘটনাকে ঘিরে ফের সামনে এল তৃণমূলের ঘরোয়া কাজিয়া। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে দল ঠিক করেছিল নাজমা সুলতানার নাম। কিন্তু দলেরই একাংশের বিরোধিতায় নাজমার সভাপতি হওয়া ভেস্তে গেল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন সুলতানা খাতুন নামে দলেরই এক সদস্য। তৃণমূলের ৬ ছন ছাড়াও সুলতানা খাতুন বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির ভোটও পেয়েছেন।
শনিবার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের নির্বাচন। এই সমিতিতে আসন সংখ্যা ৩৮। তার মধ্যে তৃণমূলের আসন হল ২১টি। দলের সভাপতি পদের প্রার্থী নাজমা পেয়েছেন তৃণমূলের ১৫টি ভোট। অন্যদিকে সুলতানার পক্ষে তৃণমূলের ছ’জন ছাড়াও কংগ্রেসের আট জন, বিজেপির সাত জন এবং বামফ্রন্টের দু’জন ভোট দেন। ২৩টি ভোট পেয়ে তিনি সভাপতি হন। অন্যদিকে, সহ-সভাপতি পদে ভোটাভুটি হয়। ২২ ভোট পেয়ে সহ সভাপতি হন বিজেপির সুজিত পাত্র।
আরও পড়ুন:খেজুরিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বোমাবাজি
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাজমার অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য, সুলতানা খাতুন পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছেন। যদিও নাজমা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন সুলতানা। তিনি বলেন, সভাপতি পদে নির্বাচত হতে পেরে ভালো লাগছে। আমার প্রথম কাজ হবে, জনগণের কাছে যাওয়া। তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পথে যেন আমি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমি কাজ করতে চাই।