বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) শপথ গ্রহণ (Oath Ceremony) অনুষ্ঠানে ৮ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন। সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiya) সরকারের ক্যাবিনেটের (Cabinet) প্রথম তালিকা সামনে এল। তাতে দেখা যাচ্ছে ৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে তিন জন হচ্ছে বেঙ্গালুরুর। সমস্ত গ্রুপকে সন্তুষ্ট করে মন্ত্রিত্ব দিতে হচ্ছে বলে চাপে রয়েছে কংগ্রেস (Congress)। বিধায়কদের মধ্যে ১০ শতাংশ কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্গালুরুর। লিঙ্গায়েতস ও ভোক্কালিগা থেকে ৪৫ শতাংশ বিধায়ক রয়েছেন। লিঙ্গায়েতদের ৩৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্ত্রিত্বের জন্য এদিন যে তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে তাতে রয়েছে ড. জি পরমেশ্বর, শ্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, শ্রী কেজে জর্জ, শ্রী এমবি পাতিল, শ্রী সতীশ জারকিহোলি, শ্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়্গে, শ্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি, শ্রী বিজে জামির আহমেদ খান। শনিবার শপথ অনুষ্ঠানে ওই ৮ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলত বেঙ্গালুরুর কান্তরাভা স্টেডিয়ামে এই শপথ বাক্য পাঠ করান। কংগ্রেস কর্নাটক বিধানসভা ভোটে ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৫ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। বিজেপি ৬৬ ও জেডিএস ১৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। সেখানে হাজির হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আব্দুল্লা। অনুষ্ঠানে এসেছেন নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদব। আছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এছাড়া ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, অশোক গোহলত হাজির রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Assam | Drug | মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত কারও মৃত্যু হলে তাকে কবর দেওয়া যাবে না, ঘোষণা এই জেলায়
শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানকে অনেকেই বিজেপি বিরোধীদের ঐক্যের বার্তাবহ বলে মনে করছেন। কারণ, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব, এমকে স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন, মেহবুবা মুফতি, ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক অথবা ওমর আবদুল্লা। কংগ্রেস কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রেড্ডি, দিল্লির আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী ও অন্ধ্রপ্রদেশের জগন রেড্ডিকে আমন্ত্রণ জানায়নি। কংগ্রেসের দাক্ষিণাত্য বিজয়ের পর বিরোধী জোটের নেতৃত্বের প্রশ্নেও অনেকটা এগিয়ে খাড়্গের দল। সেক্ষেত্রে জোট-নেতৃত্বের প্রশ্নে নীতীশ-মমতা-পাওয়ারের কর্তৃত্ব আর চলবে না। এককভাবে চারটি এবং জোট গড়ে মোট সাতটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস।