দেশের সংখ্যালঘু অংশের নানা কাজকর্মে বারবার সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার তাঁদের ধর্মীয় আচার-আচরণ নিয়েও সরাসরি আক্রমণে নামলেন যোগীরাজ্যে বিজেপির এক জনপ্রতিনিধি। গত ২০ অক্টোবর তিনি নিজেই ওই ভিডিয়োটি মোবাইলে তুলেছেন। গত ২০ অক্টোবর সত্যাগ্রহ এক্সপ্রেসে যাচ্ছিলেন দীপলাল ভারতী। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে চারজন সংখ্যালঘু অংশের মানুষ একটি স্লিপার ক্লাসের কামরায় ট্রেনের মেঝেয় বসে নামাজ পাঠ করছেন।
বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক দীপলাল তাঁর ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করে লিখেছেন, আমি নিজেই ওই ভিডিয়োটি তুলেছি। এরা একটি স্লিপার কোচের মাঝখানে যাওয়ার পথে বসে নামাজ পড়ছিলেন। আর এভাবে ট্রেনের মধ্যে যাতায়াতের পথে নামাজ পড়ার ফলে সাধারণ যাত্রীদের যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছিল। শুধু এখানেই থামেননি দীপলাল ভারতী। কিভাবে ওই সব বিষয়ের সমাধান করা যায় তারও নিদান হেঁকেছেন।
প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের দাবি, অন্যান্য যাত্রীরা ট্রেনে ঢুকতে বা বেরিয়ে যেতে পারছেন না। কারণ যাতায়াতের রাস্তা আটকে আছে। প্রকাশ্যে এভাবে নামাজ পাঠ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তাঁর অভিযোগ, ওই নামাজ পাঠের সময় দুদিক থেকে দুজন ব্যক্তি রাস্তা আটকেছিলেন। অবিলম্বে এই ধরণের কাজ বন্ধ হওয়া জরুরি। তিনি রেল দফতরের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগও জানিয়েছেন। প্রকাশ্য রাস্তায় নামাজ পাঠের ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশে এই ধরণের বিতর্কের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। রাজধানী লখনউয়ের লুলু মলে এরকম প্রকাশ্যে নামাজ পাঠের পর সরব হন হিন্দুত্ববাদীরা। তখনই তাঁরা দাবি তুলেছিলেন, এভাবে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন।