দীপাবলি ভাইফোঁটার আগে বাঙালির কাছে বিপত্তির খবর৷ ব্যবধানে তিন মাসের, তার মধ্য়ে আরও একবার দুধের দাম বাড়িয়ে দিল আমূল। এই দফায় লিটার পিছু ২ টাকা করে বাড়ল ফুল ক্রিম দুধ এবং মোষের দুধের দাম। যার আঁচ সরাসরি পড়তে চলেছে রান্নাঘরে। আমুলের পাশাপাশি মাদার ডেয়ারিও দুধের দাম দু টাকা করে বাড়িয়েছে। শেষবার আগস্ট মাসে দুই দুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা দাম বাড়িয়েছিল। এই নিয়ে চলতি বছরে তিনবার বাড়ল দুধের দাম। মার্চ মাসেও দুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই দামবৃদ্ধির আওতায় রাখা হয়নি গুজরাতকে। সামনে বিধানসভা ভোট। সেজন্য মোদির রাজ্যে আগের দরেই দুধ পাওয়া যাবে।
আমুলের তরফে জানানো হয়েছে, আগে যে ফুল ক্রিম দুধ ৬১ টাকা প্রতি লিটার পাওয়া যেত, সেটাই এবার থেকে কিনতে হবে ৬৩ টাকা প্রতি লিটার দরে। বাড়ানো হয়েছে মোষের দুধের দামও। একাধিক রাজ্যে চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় দুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গুজরাট কো-অপারেটিভ ফেডারেশন লিমিটেড। এই সংস্থাটিই আমুলের দুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমুল গুজরাট বাদে সব রাজ্যে ক্রিম দুধ এবং মোষের দুধের দাম ২ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে।
অবশ্য দুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির দাবি, লাম্পি ভাইরাসের দাপটে দুধের উৎপাদন ৪৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। গুজরাত, রাজস্থান ও পঞ্জাবে এই ভাইরাসের আক্রমণে ৪৫ শতাংশ কমে গিয়েছে দুধের উৎপাদন। সব মিলিয়েই এই মূল্যবৃদ্ধি। যার ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কম। সেটাই মূল্যবৃদ্ধির কারণ।
যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জোগান তো গুজরাটেও কমেছে, সেখানে কেন দাম বাড়ানো হল না। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মাস দু’য়েকের মধ্যেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Election)। আর তার আগে দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে মোদির রাজ্য়ে ভোটারদের মধ্যে ব্য়পক প্রভাব পড়তে পারে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই আশঙ্কা থেকেই গুজরাটে দুধের দাম বাড়ানো হয়নি।