রিষড়া: কেন্দ্রীয় তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে (Central Fact Finding committee) রিষড়ায় (Rishra) যেতেই দিল না রাজ্যের পুলিশ (State Police)। শনিবার দিল্লি রোডে (Delhi Road) শ্রীরামপুর (Serampore) থানার ভূষণ স্টিল ফ্যাক্টরির সামনে পুলিশ ওই দলের সদস্যের আটকে দেয়। তাঁদের বলা হয়, রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ (144 CRPC) ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যেতে দেওয়া হবে না। প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ অফিসারদের কথা কাটাকাটিও হয়। পরে অবশ্য তাঁরা গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতায় (Kolkata) ফিরে আসেন। সাংবাদিকদের কাছে প্রতিনিধিদলের সদস্য চালুওয়ালি খান্না বলেন, আমরা সত্যিটা জানতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের যেতে দেওয়া হল না। দিল্লিতে গিয়ে বিষয়টা জানাব।
পাটনা হাইকোর্টের (Patna High Court) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি-সহ তথ্যানুসন্ধান কমিটির ছয় সদস্য শনিবারই কলকাতায় এসে পৌঁছন। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রাজপাল সিং, আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস, সাংবাদিক সঞ্জীব নায়েক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাবনা বাজাজ, চালুওয়ালি খান্না।
প্রতিনিধিরা বলেন, কেন আমাদের আটকে দেওয়া হল, জানি না। আমরা তো গোলমাল পাকাতে যাচ্ছি না। আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব ভেবেছিলাম। যে সব এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছিল, সেই সব এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। কমিটির অন্যতম সদস্য চালুওয়ালি খান্না বলেন, আমরা তবু যাওয়ার চেষ্টা করব। না যেতে পারলে কলকাতায় ফিরে যাব।
আরও পড়ুন: Abbhshek Banerjee | রাজ্যের দাবি না মিটলে দিল্লি অচল হবে, হুঁশিয়ারি অভিষেকের
কমিটির আর এক সদস্য বলেন, রাজ্য পুলিশের কোনও অধিকার নেই আমাদের বাধা দেওয়ার। দেশের অন্য কোনও রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। আমরা দিল্লিতে গিয়ে সব জানাব। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কোনও আইন ভঙ্গ করিনি।
কমিটির সদস্যদের নবান্নে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। রবিবার তাঁরা যাবেন জিটি রোডের উপদ্রুত এলাকায়। সোমবার চন্দননগর এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। কিন্তু প্রথম দিনেই তাঁদের যে অভিজ্ঞতা হল, তারপর বাকি দুদিনের কর্মসূচি বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। চালুওয়ালি খান্না বলেন, দেখা যাক, কী দাঁড়ায়।
এই তথ্যানুসন্ধান কমিটি অবশ্য সরকারি নয়, বিজেপিরও নয়। এটি আদতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের একটা ফোরাম। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanata Majumder) বলেন, এই কমিটি আগেও বহু রাজ্যে গিয়েছে। কোথাও তাঁদের এভাবে বাধা দেওয়া হয়নি।
বিরোধীরা বলেন, তৃণমূল জমানায় রাজ্যে মানবাধিকার সুরক্ষিত নয়। তাই বারবারই মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটি এই রাজ্যে আসে। কমিটির সদস্যদের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)।