নয়া দিল্লি: ফোর মাস্কেটিয়ার্স। থিঙ্ক আউট অফ দ্য বক্স। এমনই বলা হচ্ছে তাঁদের। দিল্লিতে অটোয় চড়ে ঘুরলেন আমেরিকার চার মহিলা কূটনীতিক। যে ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে। বিলাসবহুল সুরক্ষিত আর্মরড গাড়ি ছেড়ে তাঁরা আতিপাতি অটোরিকশোয় (Auto rickshaw) চেপে ঘুরলেন। সাধারণ মানুষের মতো। রাস্তায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেন। খোশমেজাজে অটোভ্রমণ করলেন।
কূটনীতি বলতে কেমন যেন ভারী শব্দ মনে হয়। দেশ-বিদেশের সরকারের উচ্চস্তরে কূটনীতিকরা এই ধরনের বৈঠক করেন। সাধারণ মানুষের ধারেকাছে তাঁরা থাকেন না। কিন্তু, ওই চার কূটনীতিক সেই রেওয়াজ ভেঙে দিলেন। বুধবার তাঁদের অটো চড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গাড়ির সওয়ারি তাঁরাই। আবার চালকও তাঁরাই। শেষে এক প্রতিনিধি সদস্য বললেন, এটাই বুঝলাম, অটো চালাতে গেলে সাহসী হতে হয়। কারণ, রাস্তায় গরু, ছাগল, কুকুরের (প্রাণী) দেখা মেলে। সাইকেল তো আছেই।
ওই প্রতিনিধিরা শুধুই অ্যাডভেঞ্চারের জন্য অটোয় চড়েছেন তা নয়। তাঁরা অফিসের সব কাজও অটোয় চড়ে করেছেন। তাঁদেরই এক প্রতিনিধি বললেন, এই অটো চড়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হল। স্থানীয় পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে পারলাম। মানুষ অটোয় চড়ার বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। অন্য এক প্রতিনিধি জানান, এর আগে তাঁরা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁরা রাস্তায় অটোরিকশ দেখেন। তখন থেকে তাঁদের মনে অটোয় চড়ার কথা জেগেছিল।
ওই চার জন কূটনীতিক হলেন, অ্যান এল ম্যাসন (Ann L Mason), রুথ হলমবার্গ (Ruth Holmberg), শারিন জে কিট্টারম্যান (Shareen J Kitterman) জেনিফার বাইওয়টার্স ( Jennifer Bywaters)। যাঁরা তাঁদের এই অটো চড়ার ঘটনাকে বর্ণাকে অনুপ্রেরণামূলক বলে বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে মায়ের থেকে অনুপ্রেরণা। কেউ একে অ্যাডভেঞ্চার বলে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে ব্রিটেনের সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন(Boris Johnson) কলকাতায় এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেয়েছিলেন।
Us Diplomat: বিলাসবহুল বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছেড়ে আমেরিকার চার কূটনীতিক অটো চালিয়ে দিল্লি ঘুরলেন
Follow Us :